বেসরকারি মলেও এবার মিলবে মমতার 'বিশ্ব বাংলা' ব্র্যান্ড, পিপিপি মডেলে কৃষক বাজার নিয়ে বিপণনের ভাবনা
বাংলাকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে দারুণভাবে আগ্রহী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসে দাঁড়াচ্ছে ফিউচার গ্রুপ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাকে পৌঁছে দেওয়ার ইচ্ছার ভাবনা থেকেই জন্ম বিশ্ব বাংলার। ২০১১ তে ক্ষমতায় আসার পরই মমতা চেয়েছিলেন বাংলার বিভিন্ন কুটীর শিল্পকে একটা মঞ্চ দিতে। যেখানে থেকে পৃথিবীর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করতে পারবে বাংলা। সেই ভাবনা থেকেই পথ চলা শুরু বিশ্ব বাংলা বিপণীর। এর আগে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের স্টোর খুলেছে বিশ্ব বাংলা।
তবে এবার বিশ্ব বাংলাকে আরও বড় ভাবে তুলে ধরতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল ফিউচার গ্রুপ। শনিবার কলকাতায় প্রথম স্টোর লঞ্চ করল সেন্ট্রাল। সেখানে পৃথিবীর সেরা ৫০০ ব্র্যান্ডের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশ-বিটদেশের এই নামি ব্র্যান্ডের সঙ্গে বিশ্ব বাংলা-ও এবার স্থান পেল। এই প্রথম কোন শপিং মলে আরও নানা ব্র্যান্ডের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা করবে বিশ্ব বাংলা।
ফিউচার গ্রুপের পক্ষ থেকে তাঁদের সিইও কিশোর বিয়ানি আশ্বাস দিয়েছেন শুধুমাত্র কলকাতার সেন্ট্রাল মল-এ নয়, দেশের অন্য সব সেন্ট্রাল মল-এও জায়গা পাবে বিশ্ব বাংলা। বাংলার সেরা পণ্যকে ভারতের বিভিন্ন জায়গা পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা থেকেই ফিউচার গ্রুপ এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
এতেই
শেষ
নয়।
সব
কিছু
ঠিকঠাক
ভাবে
চললে
এই
অর্থনৈতিক
বর্ষেই
হয়ত
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মস্তিষ্ক
প্রসূত
কৃষক
বাজার,
ফেয়ার
প্রাইস
শপ-ও
তৈরি
করবে
ফিউচার
গ্রুপ।
এর
জন্য
রাজ্য
সরকারের
সঙ্গে
তারা
পিপিপি
মডেলে
কাজ
করবে।
রাজস্থান
সরকারের
সঙ্গেও
এভাবে
এর
আগে
কাজ
করার
অভিজ্ঞ
তা
রয়েছে
ফিউচার
গ্রুপের
ঝুলিতে।
ফিউচার গ্রুপের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান মণীশ আগরওয়ালের মতে পণ্য কেনাবেচার বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে কথা চলছে। কৃষকরা যাতে নায্যমূল্যে তাঁদের সামগ্রী ক্রেতা অবধি পৌঁছে দিতে পারেন তারই ভাবনা রূপায়নের চেষ্টা হচ্ছে কৃষকবাজারের মাধ্যমে। এই মুহূর্তে ফড়ে-রা কৃষকদের থেকে সমস্ত কিছু কিনে দোকানদারদের কাছে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে ক্রেতারা পণ্য খরিদ করেন। এত হাত ঘুরে আসার জন্য ক্রেতাদের অধিক মূল্যে জিনিস কিনতে হয়। অথচ উৎপাদক কৃষকরা লাভের মুখ দেখেন না বলেলই চলে। এই ব্যবস্থাটা ভাঙতে চেয়ে কৃষক বাজারের ভাবনা ফিউচার গ্রুপের। আর সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষক বাজারের ভাবনাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তারা। চলতি বছরের শুরুতে বণিক সভার সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর সেই সময় থেকে ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে নানা প্রকল্প নিয়ে আলোচনার শুরু।
একইভাবে ফেয়ার প্রাইস শপ গুলিকেও আমূল পরিবর্তন করতে চায় এই গ্রুপ। ফেয়ার প্রাইস শপে নির্ধারিত দামে পণ্য পাওয়া গেলেও সবধরণের ক্রেতার কাছে এখনও এর গ্রহণযোগ্যতা নেই। এই বাধাটাই ভাঙতে চায় ফিউচার গ্রুপ। বিভিন্ন ধরণের ক্রেতার প্রয়োজনীয় জিনিস যাতে এইসব দোকান থেকে পাওয়া যায় তার ভাবনাতেই কাজ করছেন তারা।
এখানেই শেষ নয় বিভিন্ন স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীদের তৈরি করা সামগ্রী বাজার হিসেবে বিগ বাজারকে মাধ্যম করার কাজও চলছে। এই ক্ষেত্র সরাসরি সেই গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগ তৈরি না হলেও সরকারের মাধ্যমে তাদের থেকে পণ্য কিনে বিগ বাজারের বিভিন্ন আউটলেটে তা বিক্রির কাজ করবে তারা। ঠিক কী ধরণের প্যাকেজিং হলে তা ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে তা অবশ্য গাইড করে দেওয়ার দায়িত্বও সামলাবে এই সংস্থা।