অনেকটাই দাম কমছে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ-সহ বেশ কিছু ওষুধের! মাসের শেষ থেকে মিলতে পারে সুবিধা
জুলাইয়ের শেষ থেকে বেশ কিছু ওষুধের (medicine) দাম (price) কমতে চলেছে। গত ৩০ জুন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডায়াবেটিস (Diabetes) , উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure)-সহ বেশ কয়েকটি ওষুধের দাম কমানোর কথা জানানো হয়। তারপর
জুলাইয়ের শেষ থেকে বেশ কিছু ওষুধের (medicine) দাম (price) কমতে চলেছে। গত ৩০ জুন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ডায়াবেটিস (Diabetes) , উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure)-সহ বেশ কয়েকটি ওষুধের দাম কমানোর কথা জানানো হয়। তারপরেই ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) ৮৪ টি ফর্মুলেশনের মূল্য বেঁধে দিয়েছে। যার প্রভাব বাজারে পড়তে জুলাইয়ের শেষ হয়ে যাবে।
সবচেয়ে বেশি দাম কমছে ডায়াবেটিসের ওষুধের
এক্ষেত্রে সব থেকে বেশি দাম কমছে ডায়াবেটিসের ওষুধের। সিটাগ্লিপটিন ফসফেট ভিত্তিক ফর্মুলেশনের ওষুধের দাম সব থেকে বেশি কমতে চলেছে। ডায়াবেটিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা ওই ওষুধের ১০ টিক একটি স্ট্রিপের দাম এখন ৩৪৭ টাকা। এনপিপিএ-র নতুন আদেশের ফলে দাম প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। সিটাগ্লিপটিন ফসফেটের বিভিন্ন ফর্মুলেশনের ওষুধের প্রতি স্ট্রিপের দাম পড়বে ৮৯ থেকে ২১০ টাকার মধ্যে।
পেটেন্ট হারাচ্ছে সিটাগ্লিপটিন
অল
ইন্ডিয়া
অর্গানাইজেশন
অফ
কেমিস্ট
অ্যান্ড
ড্রাগিস্টের
তরফে
বলা
হয়েছে,
এই
মূল্য
হ্রাস
উল্লেখযোগ্য।
তবে
এর
পিছনে
সিটাগ্লিপটিন
ওষুধ
শীঘ্রই
তার
পেটেন্ট
হারাচ্ছে।
এখন
দামের
সঙ্গে
যুদ্ধে
রোগীরা
সব
থেকে
বেশি
সুবিধা
পাবেন
বলেই
মনে
করছে
এই
সংগঠন।
তবে
দামের
পরিবর্তন
সব
কোম্পানির
তৈরি
ওষুধকে
প্রভাবিত
করবে
বলেও
মনে
করে
এআইওসিডি।
দাম কমছে উচ্চরক্তচাপের ওষুধের
উচ্চ রক্তাচাপ ও করোনারি ধমনী রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যামলোডিপাইন বেসিলেটের দামও উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এই এই ওষুধের জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের প্রতি স্ট্রিপের দাম ৪৭০ টাকা পর্যন্ত। তবে নতুন অর্ডারের ক্ষেত্রে ফর্মুলেশনের প্রতি স্ট্রিপের দাম ৯৭ থেকে ১৭০ টাকার মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। এছাড়াও সিলনিডিপাইন টেলমিসারটেনের ওপরে ভিত্তি করা ফর্মুলেশনের দাম প্রতি স্ট্রিপে ১৪২ টাকা থেকে ১২০ টাকা কমতে পারে। এছাড়াও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ম্যালেরিয়ার ওশুধের দাম প্রতি স্ট্রিপে ৭০ টাকা কমবে।
স্বাগত জানিয়েছে বিসিডিএ
ওষুধের দাম হ্রাসকে স্বাগত জানিয়েছে বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে প্রতিদিন খুচরো কাউন্টারে যেসব রোগী আসেন, তাঁদের বেশিরভাগই ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে যা আরও বেড়েছে। এই মূল্যহ্রাস মাসিক ওষুঘের ব্যয়কে অনেকাংশে কমাবে বলেও মনে করে এই সংগঠন। নতুন দামের ট্যাগ বাজারে আসতে প্রায় একমাস সময় লেগে যেতে পারে বলেও জানিয়েছে এই সংগঠন।