রোগী থেকে কর্মী, জোর করে হিন্দি বলিয়ে নিচ্ছে আর. এন. টেগোর হাসপাতালে, প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ
রোগী থেকে কর্মী, জোর করে হিন্দি বলিয়ে নিচ্ছে আর. এন. টেগোর হাসপাতালে, প্রতিবাদে বাংলা পক্ষ
হিন্দী চাপিয়ে দেওয়ার কাজ করছে কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমনটাই দাবি বাংলাপক্ষের। তাই এই সংগঠন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
কী অভিযোগ?
সংগঠনের পক্ষে বলা হয়েছে, 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম সামনে রেখে পিছনে হিন্দী চাপিয়ে দেওয়ার কাজ করছে কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর. এন. টেগোর হাসপাতালের তরফে জোর করে বাঙালির উপর হিন্দী চাপিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে প্রকাশ্যে। এই চক্রান্তের সাম্প্রতিকতম নিদর্শন কলকাতার আর. এন. টেগোর হাসপাতালে আগত রোগী, চিকিৎসক, হাসপাতেলের উচ্চ পদাধিকারী ব্যক্তি এবং রোগীর আত্মীয়দের নমস্কারের বদলে 'নমস্তে' বলার জারি করা ফরমান।'
দাবী কী?
বাংলা পক্ষ দাবি করেছে, "কর্মচারীদের সূত্রে জানা গেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে আভ্যন্তরীণ বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে কর্মচারীদের বাধ্যতামূলক ভাবে 'নমস্তে' বলতে হবে। একই সঙ্গে রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের তরফে অভিযোগ, ফোনে বহির্বিভাগে চিকিৎসকদের সাক্ষাতের জন্য সময় চাইলেও হিন্দীতে তথ্য চাওয়া হচ্ছে।"
তুঘলকি বিজ্ঞপ্তি
সংগঠন
তাই
বলছে,
"এই
তুঘলকি
বিজ্ঞপ্তি
এবং
বিভিন্ন
ভাবে
হিন্দী
সাম্রাজ্যবাদের
তাঁবেদার
হিসেবে
বাংলার
বুকে
হিন্দী
চাপিয়ে
দেওয়ার
এই
চক্রান্তের
বিরুদ্ধে
ও
বাংলার
মাটিতে
সমস্ত
পরিষেবা
বাংলায়
দেবার
দাবি
করে
শান্তিপূর্ণ
প্রতিবাদ
জানাবে
বাংলা
পক্ষ
এবং
আর.
এন.
টেগোর
হাসপাতালের
মেডিকেল
সুপারিন্টেনডেন্ট-র
হাতে
একটি
স্মারক
লিপি
তুলে
দেওয়া
হবে।"
বাঙালির
স্বার্থ
এর আগে বাঙালির স্বার্থ নিয়ে বহু আন্দোলন করেছে বাংলা পক্ষ। সাফল্যও মিলেছে অনেক। যেমন মেডিক্যালে ভর্তিতে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো ডোমিসাইল বি বাতিলের দাবিতে স্বাস্থ্য ভবনে বাংলা পক্ষর বিক্ষোভ ও ডেপুটেশন কর্মসূচী নেয়। বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করে অন্য রাজ্যের ছেলেমেয়ের ডোমিসাইল বি র মাধ্যমে রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ গুলোয় রাজ্যের কোটায় ভর্তি করা যাবে না। এই দাবিতে সোচ্চার হয়েছিল তারা।
মেডিক্যালে ভর্তিতে ডোমিসাইল বি বাতিল করতে। বাংলার ছেলেমেয়েদের বঞ্চিত করা যাবে না। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষ পরিষদ সদস্য কৌশিক মাইতি, ডঃ অরিন্দম বিশ্বাস, উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক পিন্টু রায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সম্পাদক প্রবাল চক্রবর্তী, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীনের সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার, হাওড়ার সম্পাদক জয়দীপ দে, উত্তর চব্বিশ শিল্পাঞ্চলের সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ সামাজিক মাধ্যম সমন্বায়ক সায়ন মিত্র প্রমুখ।
পাঁচ জনের প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা ডঃ দেবাশীষ ভট্টাচার্য এবং স্বাস্থ্য সচিব মাননীয় নারায়ণ স্বরূপ নিগমের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং স্মারকলিপি জমা দিয়েছিল। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা তিনি পুরো বিষয়টি সমাধানের পক্ষে বলেছিলেন। স্বাস্থ্য সচিব বলেন তিনি বাংলার স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সাথে মিটিং করেন এই বিষয়ে।
ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ৫ জেলায়! কেমন থাকবে কলকাতা ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া