আচার্যের চিঠি আসতেই নমনীয় যাদবপুর, পাখির চোখ মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে
অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটাতে এল আচার্যের চিঠি। আচার্য রাজ্যপাল রাজ্য ছাড়ার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে বার্তা দিলেন এই অচলাবস্থা কাটাতে উপাচার্যকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা কাটাতে এল আচার্যের চিঠি। আচার্য রাজ্যপাল রাজ্য ছাড়ার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চিঠি পাঠিয়ে বার্তা দিলেন এই অচলাবস্থা কাটাতে উপাচার্যকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এরপরই ১২ জন কর্মসমিতির সদস্যের চাপে ফের কর্মসমিচির বৈঠক নির্ধারিত হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এখনই এই কর্মসমিতির বৈঠকের উপরই নির্ভর করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জট কাটার বিষয়টি। বর্তমানে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে, ফের ঐতিহ্যের প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনা হতে পারে। একমাত্র প্রবেশিকা পরীক্ষা ফিরিয়ে আনাই যে একমাত্র খোলা পথ, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে কর্মসমিতির মধ্যেই বিভাজনে।
এদিন ১১জন বিভাগীয় প্রধান ও একজন ডিন অবিলম্বে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। সেই মোতাবেক মঙ্গলবার দুপুর দুটোয় কর্মসমিতির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠক থেকে কী সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসে সেদিকেই তাকিয়ে ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপর-অধ্যাপিকারা।
এদিনই উপাচার্য সুরঞ্জন দাস আন্দোলনকারীদের মুখোমুখি হয়ে অনশন তুলে নেওয়ার জন্য কাতর আবেদন জানিয়েছিলেন। বলেছিলেন, 'বুঝতে পেরেছি, তোমরা আর আমাকে চাইছ না। চেয়ারে বসে যতটুকু করার করেছি। এর বেশি কিছু করার ছিল না আমার।' তিনি এমন কথাও বলেছিলেন, 'আমি ফেল করেছি।' তারপরও জট কাটেনি। উপাচার্যের কাতর আবেদনের পরও আন্দোলনের পথ থেকে সরে আসেননি ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা যথারীতি অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শেষমেশ বিকেলে আচার্যের চিঠি আসার পর খানিকটা নমনীয় পরিস্থিতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে।