নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ! বামপন্থী মৃণাল সেনের মৃত্যুতে শোক বুদ্ধদেবের
নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ। মৃণাল সেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, সত্যিকারের একটি যুগের অবসান হলো।
নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুসংবাদ। মৃণাল সেনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় জানালেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, সত্যিকারের একটি যুগের অবসান হলো, তিনি যার শেষ প্রতিনিধি ছিলেন।
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শোক
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য তাঁর শোকবার্তায় বলেছেন, চার দশক ধরে মৃণাল সেন অনেকগুলি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। বেশিরভাগই উত্তীর্ণ, সাফল্যের মুকুটও এনেছে দেশ-বিদেশ থেকে। চলচ্চিত্রে নির্মম বাস্তবতার সঙ্গে সৌন্দর্যময়তার যোগ, এই নিয়ে মৃণাল সেনের চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা তৈরি হয়েছিল। এখানেই তাঁর স্বাতন্ত্র্য।
বিশ্বের সামনে ৭০ দশকের সন্ত্রাস
সত্তরের
দশকের
শুরুতে
রাষ্ট্রীয়
সন্ত্রাসকে
তিনি
বুঝতে
সাহায্য
করেছেন
দেশ-বিদেশের
মানুষকে।
মৃণাল
সেন
ছিলেন
আন্তর্জাতিক
ব্যক্তিত্ব।
রাশিয়া,
জার্মানি,
ইতালি,
ফ্রান্স
এমনকি
সুদূর
চিলির
পরিচালকদের
সঙ্গেও
ছিলো
তাঁর
অন্তরঙ্গ
বন্ধুত্ব।
ভাবনাচিন্তায়
তিনি
ছিলেন
দেশীয়,
কিন্তু
আন্তর্জাতিকতাবাদী,
মুক্ত
মনের
মানুষ।
বামপন্থী মৃণাল সেন
চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন অবশ্যই বামপন্থী ছিলেন। বিশ্বাসে, জীবনযাপনে শেষদিন পর্যন্ত তিনি বামপন্থী ছিলেন। বহুবার তাই কলকাতার রাস্তায় তাঁকে পাওয়া গিয়েছে পায়ে পায়ে মানুষের মিছিলে। চলচ্চিত্রকার হিসাবে তাঁর জীবনবীক্ষার শিকড়ে ছিল বামপন্থা।
রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য অস্বস্তি
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য লিখেছেন, মৃণালদা নব্বই বছর অতিক্রম করেছেন। মৃত্যুর আগে শরীরে কোনো অসুখ তাঁকে কষ্ট দেয়নি। মৃণাল সেনের জন্মদিনে অনেক কথাবার্তাও হয়েছে তাঁর । শারীরিক অসুস্থতা না থাকলেও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য একটা অশান্তি অস্বস্তি তাঁর মনে ছিল। সেই নিয়েই তিনি চলে গেলেন। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জানাই। লিখেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।
(ছবি সৌজন্য: ফেসবুক)