যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া
পুলিশ জানায়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড ক্যাম্পাস অর্থাৎ সল্ট লেক ক্যাম্পাসের ইনফর্মেশন টেকনোলজি বিভাগের ওই পড়ুয়া কয়েকদিন ধরে খুবই হতাশ ছিলেন। ফাইনাল ইয়ারে পড়ছিলেন তিনি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটা চাকরি জোগাড় করতে হবে, এটা বলতেন বন্ধুদের। প্রথমে আমাজন ও পরে মাইক্রোসফট এসেছিল ক্যাম্পাসিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ করতে। কিন্তু দু'টি কোম্পানির কেউই বাছাই করেনি মণীশ রঞ্জনকে। এতে তিনি মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়েন। মঙ্গলবার দুপুরে হস্টেলে নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে সহপাঠীরা এসে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শব উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: এশিয়ার সেরা ১০০: বাংলা থেকে জায়গা পেল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলেন, "পড়াশুনো শেষ করে যে কেউই ভালো চাকরির আশা করে। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছেলেদের ক্ষেত্রে এই চাপটা আরও বেশি। বিরাট সামাজিক প্রত্যাশার বোঝা তাদের ওপর চেপে বসে। মনের মতো চাকরি না পেলে হতাশা বাসা বাঁধে। এ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয়।" তিনি আরও বলেন, রাজ্যে এখন চাকরির ক্ষেত্রে খুবই মন্দা অবস্থা। বড় বড় কোম্পানিগুলি আসছে না। এই আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও তরুণ মনে চাপ ফেলছে। হতাশায় তলিয়ে যাচ্ছে অল্পবয়সীরা।