বিরোধীদের অভিযোগে 'মান্যতা'! মমতার রাজ্যে যেসব অফিসারকে রাখা যাবে না নির্বাচনের দায়িত্বে
বিরোধী অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের মতো যাঁরা এক্সটেনশনে রয়েছেন, তাঁদের নির্বাচনের দায়িত্বে রাখা যাবে না বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে।
বিরোধী অভিযোগকে কার্যত মান্যতা দিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের মতো যাঁরা এক্সটেনশনে রয়েছেন, তাঁদের নির্বাচনের দায়িত্বে রাখা যাবে না বলে জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, একমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ছাড়া অন্য সব সরকারি দফতরে যাঁরা অবসরের পরেও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা যাবে না।
২০১৬-র জুনে রাজ্য পুলিশের প্রধান পদে দায়িত্ব নিয়েছিলেন সুরজিত কর পুরকায়স্থ। ওই বছরের জানুয়ারিতে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে ২ বছরের এক্সটেনশন দেওয়া হয়। দুবছরের মেয়ার বৃদ্ধিতে ১৭ মাস ডিজির পদে কাজ করেন । পরবর্তী সময়ে রাজ্য পুলিশের প্রধান করা হয় বীরেন্দ্রকে। কিন্তু সুরজিত কর পুরকায়স্থকে রাজ্যের চিফ সিকিওরিটি অ্যাডভাইসার করা হয়। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধু সুরজিৎ কর পুরকায়স্থই নন, অনেক অফিসারকেই অবসরের পর বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি-সহ বিরোধীদের অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর আস্থাভাজনদের এই ভাবে অবসরের পরও রেখে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধর্মতলার পাঁচতারা হোটেলে কমিশনের ফুল বেঞ্চের সামনে বিষয়টি বিশেষ করে তুলে ধরে বিজেপি। তাদের তরফে বলা হয়, এইসব অফিসারদের রেখে ভোট হলে গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকবে না।
পরে কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, একমাত্র মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ছাড়া অন্য সব সরকারি দফতরে যাঁরা অবসরের পরেও সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের নির্বাচনী কাজে যুক্ত করা যাবে না।