জিডি বিড়লার উপরে কি এবার শাস্তির খাঁড়া, কী বলছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ঘটনার নিন্দা করতে মুখের ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। খোদ কলকাতার বুকে এমন ঘটনা সত্যিকারেই চিন্তার বলে মনে করছেন তিনি।
কলকাতা শহরে এই নিয়ে একাধিকবার শিশু পড়ুয়ার যৌন নির্যাতনে নাম জড়াল জিডি বিড়লা-র। আর প্রত্যেকবারই স্কুলের তরফে মারাত্মকরকমের গাফিলতি সামনে আসছে। একই স্কুলের বিরুদ্ধে বারবার শিশু পড়ুয়াদের উপরে যৌন নির্যাতনের এমন অভিযোগ চিন্তায় ফেলেছে রাজ্য সরকারকেও। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ঘটনার নিন্দা করতে মুখের ভাষা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গোটা ঘটনাকে তিনি অত্যন্ত বর্বোরোচিত এবং নির্মম বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কলকাতার বুকে এমন ঘটনা সত্যিকারেই চিন্তার বলে শিক্ষামন্ত্রীর মনে হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর মতে, সরকারি স্কুলে উন্নত মানের পড়াশোনার ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, বাবা-মা-রা বিপুল অর্থ খরচ করেও বেসরকারি স্কুলগুলির পিছনে ছুটছেন। সুতরাং, তারপরও যদি কোনও পড়ুয়াকে স্কুল চত্বরে যৌন নির্যাতন বা মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হয় তাহলে এক্ষেত্রে তা আতঙ্কের বলেও মন্তব্য করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জিডি বিড়লা স্কুলটি অন্য বোর্ডের হলেও প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা দফতরে ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। যদি কোনও গাফিলতি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার স্কুলের ব্যাপারে কোনও কড়া সিদ্ধান্ত নেবেই বলেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে শিশুটির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন তিনি। যে শারীরিক যন্ত্রণা এবং মানসিক অবস্থার মধ্যে দিয়ে শিশুটি যাচ্ছে তা সত্যিকারেই মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেন। প্রয়োজনে শিশুটি এবং শিশুটির পরিবারের পাশে সরকার আছে বলেও জানিয়েছেন পার্থ।
এদিকে, এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতা শিশুর বাবার সঙ্গে কথা বলে শিশুর অধিকার আয়োগের সদস্যরা। যার অন্যতম সদস্য বাংলা ব্যান্ড 'ভূমি'-র সৌমিত্র রায়। স্কুলের কাছ থেকেও তাঁরা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়ে গেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে শিশু অধিকার আয়োগ।