বর্ষশেষে রোজভ্যালির সংস্থা অদ্রিজায় তল্লাশি ইডির, চিটফান্ড নিয়ে ডিজিকে চিঠি সিবিআই-এর
রোজভ্যালির গয়নার শোরুমে ইডির তল্লাশি। বুধবার বেলা ১২ নাগাদ অদ্রিজার তিনটি শোরুমে তল্লাশি শুরু হয়। এদিকে সারদা, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ডিজিকে নোটিস দিয়েছে সিবিআই।
রোজভ্যালির গয়নার শোরুমে ইডির তল্লাশি। বুধবার বেলা ১২ নাগাদ অদ্রিজার তিনটি শোরুমে তল্লাশি শুরু হয়। রোজভ্যালির অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়েই এই গয়নার ব্যবসা শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে সারদা, রোজভ্যালির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা নিয়ে ডিজিকে নোটিস দিয়েছে সিবিআই।
অদ্রিজায় তল্লাশি ইডির
বাগুইআটি, গড়িয়াহাট এবং হাওড়ায় অদ্রিজার শোরুমে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রথম তল্লাশি চলে অদ্রিজার বাগুইআটির শোরুমে। সূত্রের খবর, রোজভ্যালির অ্যাকাউন্ট থেকে প্রথমে অন্য একটি কোম্পানির নাম করে তাদের অ্যাকাউন্টে কয়েকশো কোটি টাকা সরানো হয়। পরে সেই অ্যাকাউন্ট থেকে গয়নার ব্যবসায় টাকা ঢালা হয়। এর আগে বেহালায় অদ্রিজার অপর একটি শোরুম থাকলেও সেটি বেশ কয়েকমাস আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জেলে থেকেই গয়নার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ
প্রস্তুতি থাকলেও, রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু জেলে যাওয়ার পরেই গয়নার ব্যবসার একাধিক শাখা খোলা হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, তাঁর নির্দেশ মতোই চালানো হত কাজ।
অদ্রিজার পরামর্শদাতা শুভ্রা কুণ্ডু
গৌতম কুণ্ডুর স্ত্রী শুভ্রা কুণ্ডু সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, ২০১৫-র মার্চে ইডির হাতে গ্রেফতার হন গৌতম কুণ্ডু। তার পরেই হোটেল ব্যবসার নাম বদলে ফেলা হয়। নতুন চকোলেট গ্রুপের অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে মা বিভা কুণ্ডুকে নিয়োগ করতে বলেন গৌতম কুণ্ডুই। তিনি জেলে থাকলে যাতে বাইরে থাকা পরিবারের সদস্যদের কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা।
শুভ্রা কুণ্ডু জানিয়েছিলেন, অদ্রিজার পরামর্শ দাতা হিসেবে থাকতে তিনি লিখিত ভাবে ইডি ও সিবিআই-এর অনুমতি নিয়েছিলেন। অদ্রিজার পরিচালন কর্তৃপক্ষ তাঁকে সংস্থার পরামর্শদাতা হিসেবে থাকার সুযোগ দিয়েছিলেন বলে সাফাই দিয়েছিলেন শুভ্রা কুণ্ডু।
রাজ্যের ডিজিকে নোটিস সিবিআই-এর
এদিকে, চিটফান্ডের তদন্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলায় তাঁর ভূমিকার প্রশ্ন তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ কর পুরকায়স্থকে নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই। সূত্রের খবর, চিটফান্ড কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত করে কী ভূমিকা নিয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলেছে সিবিআই। সারদা, রোজভ্যালি, আইকোরের মতো সংস্থার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে সেই তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে সিবিআই।