বেলাগাম দিলীপ, সৌগত রায়কে প্রকাশ্যে 'মোষ' বলে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির
বেলাগাম দিলীপ, সৌগত রায়কে প্রকাশ্যে 'মোষ' বলে আক্রমণ বিজেপির রাজ্য সভাপতির
তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির বিরোধ ক্রমশ চরমে উঠছে। বেসামাল মন্তব্য করতে শুরু করেছেন দুই দলের রাজনৈতিক নেতারা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি গত তিনদিন ধরে লাগাতার বেসামাল মন্তব্য করে চলেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কে প্রকাশ্যে মোষ বলে আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এর আগে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ দলবদলী নেতাদের আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছেন তাঁরা ইঁদুর।
সৌগতকে আক্রমণ
বিজেপির রাজ্য সভাপতি ফের বিতর্কে। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়কে আক্রমণ শানিয়ে দিলীপ ঘোষ মোষ বলে কটাক্ষ করেছেন। গত কয়েক মাস ধরেই সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছেন একাধিক বিজেপি নেতা। তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতাদের ইঁদুর বলে কটাক্ষ করেছিলেন সৌগত রায়। তার পাল্টা জবাবেই দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাকিরা ইঁদুর হলে সৌগতবাবু কি মোষ? ওঁকে কেউ দলে নেবে না। তাই উনি তৃণমূলে পড়ে রয়েছেন।'
সৌগত-বিজেপি তরজা
কয়েকদিন আগে শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনা যখন তুঙ্গে ঠিক তখনই অর্জুন সিং দাবি করেছিলেন তৃণমূলের ৫ সাংসদ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তার মধ্যে সৌগত রায়ও রয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন অর্জুন সিং। তারপরেই শাসদ দলে তীব্র উত্তেজনা তৈরি হয়। পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে সৌগত রায় বলেছিলেন, মরে যাব তবু বাজিপিতে যাব না। মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি।
তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপের
শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অথর্বদের দল বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন যাঁরা নেতা ছিল তাঁরা অধিকাংশই পালিয়ে গিয়েছেন, নাহলে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। যাঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁরা দলেই পড়ে রয়েছেন বলে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সৌগত রায়কেউ কেউ দলে নেবেন না বলে আক্রমণ শানিয়েছেন দিলীপ।
টিম পিকে-কে আক্রমণ
শুধু তৃণমূল কংগ্রেসই নয় শাসক দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা টিম পিকে কে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এর আগেও তিনি পিকের বিরুদ্ধে বহিরাগত শব্দ ব্যবহার করেছিলেন। শাসক দলের নেত্রী বাইরে থেকে লোক এনে দল পরিচালনার রাশ তুলে দিয়েছেন তাঁর হাতে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতা। প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক দলের অন্দরে ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্ত থেকে শুরু করে, শুভেন্দু অধিকারী সকলেই পিকে-র বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন।