তৃণমূল কংগ্রেস সমাজবিরোধীদের দল, পার্থবাবু সমাজবিরোধীদের নেতা, হুঙ্কার দিলীপের
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধাদান শুরু করেছে।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্ব থেকেই রাজ্য উত্তাল হয়ে উঠেছে। রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধী শূন্য পঞ্চায়েতের লক্ষ্যে বিরোধীদের মনোনয়ন দাখিলে বাধাদান শুরু করেছে। হিংসা ছড়াচ্ছে। এই অবস্থায় শাসক দল তৃণমূলের দিকে তির ছুঁড়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই সমাজবিরোধীদের দলে রূপান্তরিত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পরিসংখ্যানেই কুপোকাত বিজেপি, দিলীপদের অভিযোগ খণ্ডন করে রাজ্যপালকে বার্তা পার্থর]
এ প্রসঙ্গে তিনি একহাত নেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, পার্থবাবু হলেন সমাজবিরোধীদের নেতা। তিনি, ফিরহাদ হাকিমরাই তৃণমূল কংগ্রেসের নিচতুলার নেতা-কর্মীদের খেপিয়ে তুলছেন। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে তুলেছেন রাজ্যজুড়ে।
দিলীপবাবুর কথায়, প্রতিটি জেলায় জেলায় সন্ত্রাস চলছে। বিরোধীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলেই তাঁদের উপর হামলা করা হচ্ছে। আমাদের জেলা সম্পাদকের উপর ছুরি চালানো হয়েছে। কারও মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব করছেন তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা। এর বিরুদ্ধে মানুষ গর্জে উঠবেন।
তিনি বলেন, 'আমি মানুষকে শুধু সেই বার্তাই দিতে চেয়েছি। বিজেপি কর্মীদের বলেছি, তৃণমূলের এই অত্যাচার প্রতিহত করতে হবে। আর মানুষ সবই দেখতে পাচ্ছেন। প্রকাশ্য রাস্তায় সন্ত্রাস চলছে, বোমাবাজি করা হচ্ছে, গুলি চলছে। এসবের জবাব মানুষ দেবেন। আমরা মনে করছি, ভোট যদি স্বচ্ছভাবে হয়, তাহলে এই নির্বাচনে তৃণমূল ঠান্ডা হয়ে যাবে।'
দিলীপবাবু বলেন, 'নিরপেক্ষ ভোট হলে তৃণমূল হারিয়ে যাবে। বিজেপিকে রোখার ক্ষমতা নেই ওদের। তৃণমূল বুঝতে পেরে গিয়েছে, শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটের লড়াইয়ে নামতে ভয় পাচ্ছে। মনোনয়নে বাধা দিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে না দিয়ে বিনা ভোটে জিততে চাইছে পঞ্চায়েত ভোট-যুদ্ধ।'
এদিন রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, 'রাজ্যপাল আমাদের সাংবিধানিক প্রধান। তাঁকে রাজনৈতিক দোষে দুষ্ট করবেন না। সারা রাজ্যজুড়ে যে পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে রাজ্যপালকে জানাতেই আমরা রাজভবনে যাই। সারা বাংলায় আগুন জ্বলছে, তা-ই আমরা তুলে ধরি। ওরা পথ না পেয়ে রাজ্যপালকে দোষারোপ করছে। সংবিধানকে লঙ্ঘন করছে।'
[আরও পড়ুন: বিভাজন নয়, সম্প্রীতি! পঞ্চায়েতের আগে আসরে তৃণমূলপন্থী বিদ্বজ্জনেদের শান্তির বার্তা]