আর ভারতে থাকা হবে না, মুসলিমরাই ‘টা-টা’ করে দেবে, বরকতিকে পাল্টা দিলীপের
আর বেশিদিন ভারতে থাকা হবে না বরকতি সাহেবের। এবার মুসলিমরাই তাঁকে ‘টা-টা’ করে দেবে। বরকতির ফতোয়ার পাল্টা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
আর বেশিদিন ভারতে থাকা হবে না বরকতি সাহেবের। এবার মুসলিমরাই তাঁকে 'টা-টা' করে দেবে। বরকতির ফতোয়ার পাল্টা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বুধবার রায়গঞ্জে বলেন, টিপু সুলতান মসজিদের শাহী ইমামের কোনও অধিকার নেই কে শ্রীরামের নামে জয়ধ্বনি দেবে, আর কে আল্লাহ আকবর বলবে তা ঠিক করে দেওয়ার। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্র উপভোগ করেন। তাঁরাই ঠিক করবেন কে কী বলবেন, কী করবেন।[বিজেপি-আরএসএস করলে সমাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে মুসলিমদের, ফতোয়া বরকতির ]
এদিন বরকতির নিদান প্রসঙ্গে দিলীপবাবু আরও বলেন, ভারতের মুসলিমরকা রাষ্ট্রভক্ত। তাঁদের পেটাতে গেলে, দেশদ্রোহী ব্যক্তিদের তাঁরাই ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দেবে। আর বরকতির এদেশে থাকার আর ইচ্ছা নেই। তাই এইসব কথা বলছেন। রাষ্ট্রভক্ত মুসলিমদের ক্ষেপিয়ে তুলছেন। তাঁর মতে, কোনও মুসলিম যদি শ্রীরামের নামে জয়ধ্বনি দেন, তবে তা রাষ্ট্রভক্তিরই পরিচয়।
উল্লেখ্য, ইমাম বরকতি মুসলিমদের উদ্দেশে সম্প্রতি ফতোয়া জারি করেন, যাঁরা বিজেপি বা আরএসএস করবেন, তাঁদের পিটিয়ে মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্যুত করা হবে। সেই ফতোয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই দিলীপবাবুর প্রতিক্রিয়া, গণতন্ত্রে দেশের প্রতিটা মানুষের অধিকার রয়েছে নিজের মতো রাজনীতি করার, নিজের মতো ধর্মাচরণ করার। সেখানে কেউ তাঁর উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে না।
তাঁর কথায়, ভারতের মুসলিমরা দেশের সংস্কৃতি মেনে চলেন। আর রাম কোনও ধার্মিক ব্যক্তি নন। তিনি অত্যন্ত সুশাসক ছিলেন। তাই তিনি আমাদের আদর্শ। আমাদের দলের আদর্শ। তাঁর নামে জয়ধ্বনি দেওয়ার দেশভক্তির পরিচয়। কেউ যদি তা দিয়ে থাকেন, তবে তিনি দেশভক্তিরই পরিচয় দিয়েছেন। এখানে বরকতি সাহেবের কিছু বলার অধিকার নেই।
দিলীপবাবু বরকতিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বরকতিকে প্রকৃত মুসলিমরা মানেন না। বরকতি যে মসজিদের ইমাম সেখানকার কমিটির সদস্যরাই তাঁকে মানেন না। তাঁকে মারধর করে। আর উনি কী করে মুসলিম সমাজের মুখ হতে পারেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোরেই উনি ওসব করে বেড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ তোলেন দিলীপবাবু। লালবাতি নিয়ে ঘুরে বেড়ানো প্রসঙ্গেও তাঁর সমালোচনা করেন দিলীপবাবু।