ব্যালট বক্স খুলতেই চক্ষু চড়ক গাছ!প্রদত্ত ভোটের তুলনায় অনেক বেশি ব্যালট
একদিকে নদিয়ার মাঝদিয়ায় যখন গণনার সময় অবাধে ছাপ্পা দিতে দেখা গিয়েছে, ঠিক তখনই একাধিক বুথে ভোট পড়া আর গণনার সময় ব্যালট সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে।
একদিকে নদিয়ার মাঝদিয়ায় যখন গণনার সময় অবাধে ছাপ্পা দিতে দেখা গিয়েছে, ঠিক তখনই একাধিক বুথে ভোট পড়া আর গণনার সময় ব্যালট সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য ধরা পড়েছে। পাওয়া খবর অনুযায়ী সবকটি ক্ষেত্রেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল প্রার্থী।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় থেকে উত্তপ্ত ছিল কোচবিহারের দিনহাটা। সেখানে তৃণমূল ও যুব তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে একাধিক। তৃণমলের সরকারি প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে অপর গোষ্ঠী। নির্দলীয়দের অভিযোগ একাধিক আসনে জোর করে জয়ী হয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী। জানা গিয়েছে কোচবিহারের দিনহাটার এরকমই দুটি বুথ হল ৬/২১৪ এবং ৬/২২৭। ৬/২১৪ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণের দিন ভোট পড়েছিল ৭৮৪ টি। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার সময় দেখা যায় ব্যালটের সংখ্যা ৭৯৭ টি। অন্যদিকে ৬/২২৭ নম্বর বুথে ভোটগ্রহণের দিন ভোট পড়েছিল ৮৭০ টি। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার সময় দেখা যায় ব্যালটের সংখ্যা ৮৮৫ টি।
একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও। বাসন্তি ব্লকের রামচন্দ্র খালি ২১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩১ নম্বর পার্টে ভোটগ্রহণের দিন ভোট পড়েছিল ৭৫০ টি। বৃহস্পতিবার ভোট গণনার সময় দেখা যায় ব্যালটের সংখ্যা ৭৮২ টি। এই বুথে সিপিএম প্রার্থী পেয়েছেন ৩৭০ টি ভোট। অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৩৯২ টি ভোট।
সূত্রের খবর অনুযায়ী বিরোধীদের অভিযোগ উপেক্ষা করেই এই সব বুথে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়েছে।