বাঙালির হাতেই সিপিএম যুব-র ব্যাটন, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা শুরু বাংলা থেকেই
বাঙালির হাতেই সিপিএম যুব-র ব্যাটন, ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখা শুরু বাংলা থেকেই
একটা সময় দেশের তিন-তিনটি রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। এখন সবেধন নীলমণি বলতে কেরল। বাংলাও হাতছাড়া হয়েছে। হাতছাড়া হয়েছে ত্রিপুরা। কিন্তু এখনও বাংলাকে ঘিরেই আবর্ত হয় সিপিএমের রাজনীতি। সিপিএম বাংলা থেকে লোকসভায় শূন্য, বাংলার বিধানসভাতেও শূন্য। তবু সিপিএমের যুব সংগঠনের স্টিয়ারিং বাঙালির হাতেই রাখছে বিজেপি।
বয়সের কারণে সরে দাঁড়াচ্ছেন এবার
সিপিএমের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সম্মেলন চলছে সল্টলেকে। এই সম্মেসনেই নতুন সম্পাদককে বেছে নেওয়া হবে। এতদিন ডিওয়াইএফআই-এর নেতৃত্বে ছিলেন এক বাঙালি। এবারও এক বাঙালির উপর দায়িত্ব বর্তাতে চলেছে। সিপিএমের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে ছিলেন অভয় মুখোপাধ্যায়। তিনি বয়সের কারণে সরে দাঁড়াচ্ছেন এবার।
বাম-যুব নেতৃত্বের রাশ বাঙালি হাতে
এবার অভয় মুখোপাধ্যায়ের স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন আর এক বাঙালি হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য।সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে তাঁর হাতেই উঠবে সিপিএমের ষুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ব্যাটন। সভাপতি হতে পারেন কেরলের কোনও যুব নেতা। অর্থাৎ দেশের বাম-যুব আন্দোলনের নেতৃত্বের রাশ থাকবে বাঙালি হিমঘ্নরাজের হাতেই।
মরা ঘুরে দাঁড়াব, আশাবাদী সিপিএম
যতই বাংলা মুখ ফিরিয়ে নিক বামপন্থা থেকে বামপন্থী দল সিপিএম বাঙালি নেতৃত্বকেই বেছে নিচ্ছে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এই সংগঠনের পুরোধা। তাঁর রাজ্যের নেতৃত্বকেই এবারও গুরুত্বের আসনে বসানো হচ্ছে। আবারও বাঙালির হাত ধরে ঘুরে দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজছে সিপিএম। এক নেতা তো বাহাত্তর সালের উদাহারণও দিয়েছেন ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তায়। তিনি বলেন, ৭২-এ আমরা খারাপ ফল করেও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলান। ৭৭-এ তৈরি হয়েছিল নয়া ইতিহাস। আমরা আশাবাদী আবার আমরা ঘুরে দাঁড়াব।
বেশিরভাগ প্রতিনিধিই চাইছেন হিমঘ্নরাজকে
অভয় মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে বেশিরভাগ প্রতিনিধিই বসাতে চাইছেন হিমঘ্নরাজকে। হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য ওই পদে একজন যোগ্য নেতা হিসেবেই বসবেন। ছাত্র আন্দোলন থেকে যুব আন্দোলনে তিনি হাত পাকিয়েছেন। ডিওয়াইএফআই-এর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য। দলের সর্বক্ষণের কর্মী তিনি।
ভিডিও বার্তা দেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
এই সম্মেলনে ডিওয়াইএফাই চেয়েছিল বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, যিনি যুব সংগঠনের পুরোধা, তিনি উপস্থিত থাকুন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেনি। তিনি একটি ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মোবাইলে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, বিপদ শুধু বাংলার জন্য নয়, বিপদ সারা দেশের। আর সেই বিপদের নাম হল বিজেপি, তৃণমূল নয়। তাই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এককাট্টা হতে হবে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য একপ্রকার স্থির করে দিলেন সিপিএমের যুব সংগঠনের চলার পথ। তিনি তারুণ্যকে উজ্জীবিত করে কোন পথে মিলবে সমাধান, তাও বাতলে দেন।
এক পরিবার এক টিকিট, থাকাবে না বয়সসীমা, চিন্তু শিবিরে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের