মুকুলের হাত ধরে বিজেপিতে অধীর-ঘনিষ্ঠ, কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেত্রী হাত ছেড়ে পদ্মে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার পরই ফাটল ধরল কংগ্রেসে। এবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন অধীর ঘনিষ্ঠ নেত্রী মৌমিতা বিশ্বাস মিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে অধীর চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়ার পরই ফাটল ধরল কংগ্রেসে। এবার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন অধীর ঘনিষ্ঠ নেত্রী মৌমিতা বিশ্বাস মিত্র। কংগ্রেস দুর্গে ফাটল ধরিয়ে তিনি মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার তিনি বিজেপির রাজ্য দফতরে এসে যোগ দেন বিজেপিতে।
মুকুল রায় ও কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে নাম লিখিয়েই তোপ দাদের কংগ্রসের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তাঁর কংগ্রেস ছাড়ার পিছনে যে অধীর চৌধুরীকে অপসারিত করা একটা প্রধান কারণ, তাও তিনি প্রকাশ করে দেন। এখন রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, নিজের বৃত্তের নেতাদের বিজেপিতে পাঠিয়ে অধীর কী কোনও বিশেষ বার্তা দিতে চাইছেন?
এর আগে অধীর ঘনিষ্ঠ মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের নেতা হুমায়ুন কবীর যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। তারপর অধীরের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অপসারণের পর কংগ্রেস ছাড়লেন আর এক অধীর ঘনিষ্ঠ মৌমিতা বিশ্বাস মিত্র। তিনি মধ্যপ্রদেশ ও গোয়ায় কংগ্রেসের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের বনিবনা হচ্ছিল না।
[আরও পড়ুন:সবরিমালায় মেয়েদের প্রবেশাধিকার, রায়ে বাধা দিলেন একমাত্র মহিলা বিচারপতি ]
শেষমেশ অধীর চৌধুরীর অপসারণের পর তিনি কংগ্রেস ছাড়ার ব্যাপারে পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিলেন। এবং যোগাযোগ করেন মুকুল রায়ের সঙ্গে। সেইমতো মুকুল রায়ের হাত ধরে প্রদেশ কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন মৌমিতাদেবী।
[আরও পড়ুন:সবরিমালায় মহিলাদের প্রবেশের অনুমতির রায় দিতে গিয়ে ঠিক কী বলল শীর্ষ আদালত]
তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়ে বলেন, কংগ্রেসের সিনিয়র নেতৃত্ব অযোগ্য। এঁদের মধ্যে অনেকে আমাকে কাজ করতে দিচ্ছিলেন না স্বাধীনভাবে। আমার কাজে হস্তক্ষেপ করছিলেন। তারপর অধীর চৌধুরীর মতো লড়াকু এক নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে। তাই এই কংগ্রেসে থাকার প্রয়োজন মনে করছি না আর। যোগ দিলাম বিজেপিতে।
[আরও পড়ুন:লোকপাল প্যানেল নিয়ে তৎপর কেন্দ্র, তৈরি নয়া কমিটি]