বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বামেরা, জোটের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একলা চলার বার্তা কংগ্রেসের
বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে। এই জোটের কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বামেরা। অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা-নেত্রাই জোটের বিপক্ষে দাবি তুললেন লোকসভা ভোটের প্রাক মুহূর্তে।
বাম-কংগ্রেস জোট নিয়ে প্রশ্ন প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে। এই জোটের কোনও যৌক্তিকতা নেই। বিশ্বাসভঙ্গ করেছে বামেরা। অধিকাংশ কংগ্রেস নেতা-নেত্রাই জোটের বিপক্ষে দাবি তুললেন লোকসভা ভোটের প্রাক মুহূর্তে। এমনও দাবি উঠল, অবিলম্বে জানিয়ে দেওয়া হোক, কোনও দরকার নেই জোটের। একা লড়বে কংগ্রেস।
দীপা দাশমুন্সি থেকে শুরু করে শঙ্কর মালাকাররা জোটের বিপক্ষে সরব হয়েছে। একটা সময় যে দীপা দাশমুন্সি সবথেকে সরব ছিলেন জোটের পক্ষে তিনি বলেন, এই জোটে বামেরাই সব সুবিধা পেয়ে আসছে। আমাদের কোনও শর্তই মানা হয়নি। বামেদের যাবতীয় শর্ত মেনে নেওয়ার পরও কোন যুক্তিতে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে দিল বামেরা।
প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা বলেন, বামেরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে কংগ্রেসকে অপমান করেছে। তাই অবিলম্বে জোটের কথা শিকেয় তুলে এককভাবে লড়াই করার কথা জানানো হোক দিল্লিতে। কংগ্রেস কর্মীরা প্রস্তুত এককভাবে লড়াই করতে। রায়গঞ্জ থেকে মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া থেকে বসিরহাট- সর্বত্রই কংগ্রেস এককভাবে লড়তে চায়।
উল্লেখ্য, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর হস্তক্ষেপে বামেদের শর্ত মেনে লোকসভায় জোট করতে রাজি হয়েছে কংগ্রেস। রায়গঞ্জ ও মুর্শিদাবাদের মতো শক্তিশালী আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বামেদের। পুরুলিয়া ও বসিরহাটে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে চেয়েছিল। এখানেও বামেরা আগেভাগে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে। তারপর বামেরা জোটকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ।
[আরও পড়ুন:'দীনেশ ত্রিবেদী হারবে বারাকপুরে! তৃণমূলের সংগঠন নেই, ওখানে চলে অর্জুন সিংয়ের সংগঠন' ]
রাহুল গান্ধীর নির্দেশের পর প্রদেশ কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোট বৈঠকে বসলেও কোনও সমাধঝান সূত্র মেলেনি। প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে। সেখানে টানা তিন ঘণ্টার বৈঠকেও অবশ্য জট খুলল না। পুরুলিয়া-সহ বেশ কিছু আসন নিয়ে জট রয়েই গেল। তবে দুই দলের নেতারাই বললেন খুব শীঘ্রই সমস্ত জট কেটে যাবে বলে আশাবাদী ছিলেন।
[আরও পড়ুন: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই লক্ষ্য, বৈঠকে জেলাশাসকদের কড়া বার্তা নির্বাচন কমিশনের]
তারপর সিপিএম তথা বামেরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চূড়ান্ত করার আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়ায় প্রদেশ নেতৃত্ব তা ভালোভাবে নেননি। শনিবার জরুরি বৈঠকে বসে অধিকাংশ নেতা-নেত্রীই জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার পক্ষে সওয়াল করেন। একলা চলার বার্তা দেন। এমনকী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কাছে আর্জি জানান রাহুল গান্ধীকে জানিয়ে দেওয়া হোক তাঁরা দোট চান না। এখন শুধু সিদ্ধান্তের অপেক্ষা, কংগ্রেস বামেদের সঙ্গে জোটে যাবে নাকি একক লড়াই করবে।