৮ সেকেন্ডের ব্যবধানে বেঁচেছে প্রাণ! বারাণসী থেকে ফেরার সময় বিমান বিভ্রাটের কারণ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা
শুক্রবার বারাণসী (Varanasi) থেকে ফিরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফেরার সময় বিমানে (aircraft) প্রবল ঝাঁকুনিতে কোমরে চোট লাগে তাঁর। বিমানে ঝাঁকুনির কারণ জানতে চেয়ে নবান্নের তরফে ডিজিসিএ-র
শুক্রবার বারাণসী (Varanasi) থেকে ফিরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফেরার সময় বিমানে (aircraft) প্রবল ঝাঁকুনিতে কোমরে চোট লাগে তাঁর। বিমানে ঝাঁকুনির কারণ জানতে চেয়ে নবান্নের তরফে ডিজিসিএ-র কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় ঢোকার মুখে জানিয়েছেন তার কারণ। বলেছেন বরাত জোরে বেঁচে গিয়েছিলেন সেদিন।
আবহাওয়ার গোলযোগ ছিল না
আবহাওয়ার গোলযোগের কারণে নয়, সামনে অন্য একটি বিমান চলে আসার কারণে শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর বারাণসী থেকে ফেরার সময় বিমানে গোলযোগ দেখা দেয়। হঠাৎই বিমানটিকে আট হাজার ফুট নামিয়ে এনেছিলেন পাইলট। সেই সময় জানানো হয়েছিল এয়ার টার্বুল্যান্সের কারণেই এই পরিস্থিতি। এরপরে অবশ্য নবান্নের তরফে ডিজিসিএ এবং এয়ারপোর্ট অথরিটির কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় ডিজিসিএ-র তরফে বলা হয়েছিল বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সংঘর্ষ এড়াতেই নামাতে হয়েছিল বিমানটিকে
এদিন বিধানসভায় ঢোকার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, শুক্রবার তাঁর বিমানের কাছাকাছি অপর একটি বিমান চলে এসেছিল। সেই কারণেই বিমানটিকে নামাতে হয়েছিল। পাইলট অতি দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে নামিয়ে এনেছিলেন বিমানটিকে। মাত্র ৮ সেকেন্ডের ফারাকে বেঁচে যায় বিমানটি। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, পাইলটের দক্ষতাকেই বড় বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন সেদিন।
কোমরে লেগেছিল চোট, অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবারের সেই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর কোমরে আঘাতলাগে। যা এখনও রয়েছে। সেদিনের ঘটনার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছিল। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল না তা নিয়ে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানে বিভ্রাটের কারণে দমদম বিমানবন্দরে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমানের যাত্রা পথে কোনও হেলিকপ্টার চলে এসেছিল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল। প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাজ কর্ম নিয়েও।
ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল
গত নভেম্বরেও বিমান বিভ্রাটের কবলে পড়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান বিভ্রাট আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে খুনের ছক বলে অভিযোগ করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। পটনা থেকে ফেরার সময় অবতরণের অনুমতি না থাকায় আকাশেই বেশ কিছুক্ষণ চক্কর কাটতে হয় বিমানটিকে। সেই সময় বিমানটির জ্বালানিও কমে এসেছিল। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে কেন এমন করা হচ্ছে, প্রশ্ন করেছিলেন ফিরহাদ। ডিজিসিএ- সেই সময় সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল।
মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁস দফতর থেকেই! ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে মমতার সরকারকে কটাক্ষ দিলীপের