বিধানসভায় ফের সিঙ্গুর ইস্যু! চমকে যাওয়ার মতো তথ্য সরকারের
সিঙ্গুর নিয়ে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য রাজ্য সরকারের। প্রশ্নের উত্তরে এদিন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুরে ধান, গম, কলা, আলু, ভুট্টা উৎপাদিত হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের দাবি কোনও জমি পতিত নেই।
সিঙ্গুর নিয়ে চমকে যাওয়ার মতো তথ্য রাজ্য সরকারের। প্রশ্নের উত্তরে এদিন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গুরে ধান, গম, কলা, আলু, ভুট্টা উৎপাদিত হয়েছে। পাশাপাশি সরকারের দাবি কোনও জমি পতিত নেই। যদিও সরকারেরই পরিসংখ্যান বলছে সিঙ্গুরে চাষ কমিয়েছেন কৃষিজীবী মানুষেরা। ২০১৭-১৮ সালে যেখানে ৬৪১ একর জমিতে চাষ হয়েছিল, সেখানে ২০১৮-১৯ সালে ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে।
বিরোধীদের তরফে বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, সিঙ্গুরে কৃষকদের আয় কি দ্বিগুণ হয়েছে। উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেখানে কৃষিও হচ্ছে, শিল্পও হচ্ছে।
সিঙ্গুরে মোট জমির পরিমাণ ৯৭৭ দশমিক ১১ একর। ফেরত দেওয়া হয়েছে ৯৫৫ দশমিক ৯০ একর। ৪১ দশমিক ২১ একর জমির মালিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৭-১৮ তে ৬৪১ একর জমিতে চাষ হয়েছিল। ২০১৮-১৯ এ ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে। অর্থাৎ সিঙ্গুরে চাষের জমির পরিমাণ ক্রমশ কমছে। ৪১.২১ একর জমির মালিককে খুঁজে বের করতে জেলা প্রশাসন ও ভূমি দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী
বলেন,
"২০১৮-১৯
আর্থিক
বছরে
সিঙ্গুরে
২৬০
একর
জমিতে
চাষ
হয়েছে।
সরকার
কৃষকদের
সবরকম
সাহায্য
করার
পরেও
চাষের
পরিমাণ
কেন
কমছে
তা
তিনি
কী
করে
বলবেন,
মন্তব্য
করেন
মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
দাবি
করেন,
মাটি
পরীক্ষা
করে
সার
ও
বীজ
মিলিয়ে
১০
হাজার
টাকা
কৃষকদের
দেওয়া
হয়েছে।
তিনি
বলেন,জোর
করে
তো
আর
চাষিদের
বলতে
পারি
না
চাষ
কর।
কেউ
জমি
বিক্রি
করে
দিচ্ছে
বেশি
দাম
পেয়েছেন।
অন্যদিকে
চাষের
খরচও
বেড়েছে।
সিপিএম সরকার সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণের ১০ বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে প্রায় ১০০০ একর জমি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় কৃষকদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি চাষিদের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, ৯৫৫ একর জমি চাষযোগ্য। সেক্ষেত্রে বর্তমানে দেখা গিয়েছে, মাত্র ২৬০ একর জমিতে চাষ হয়েছে। কেন দুই তৃতীয়াংশ জমিতে কাজ হচ্ছে না? এদিন বিধানসভায় সেই প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী।
[আরও পড়ুন: বাংলায় '২১ এর আগে মমতাকে সাম্রাজ্য ফিরিয়ে দিতে গোপন ছক প্রশান্তের! কোনপথে তৃণমূল]