মুকুলের 'নব' আত্মপ্রকাশের সভার আগেই নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত আইপিএসকে সাসপেন্ড
নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আইপিএস এসএইচ মির্জাকে সাসপেন্ড করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
দুই বছর ধরে তাকে নিয়ে নারদ কান্ডে বিতর্কের জেরে মুখ পুড়েছিল। তাও এতদিন স্পিকটি নট ছিল রাজ্য সরকার। এমনকী তাকে বাঁচানোর চেষ্টাও হয়েছে। তবে মুকুল রায় দিন কয়েক আগে বিজেপিতে যোগ দিতেই তাঁর একদা ঘনিষ্ঠ সহযোগী তথা নারদ কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত আইপিএস এসএইচ মির্জাকে সাসপেন্ড করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
পুলিশ অফিসার মির্জাকে এদিন সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে নারদ কান্ডে জড়িত থাকায় নয়, অন্য একটি ঘটনায় অভিযোগ ওঠায় মির্জাকে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য সরকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে মির্জা সশস্ত্র বাহিনীর কম্যান্ডান্ট থাকাকালীন এক সাব ইন্সপেক্টর আত্মঘাতী হন। সেই ঘটনায় মির্জার বিরুদ্ধে তার স্বামীকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন নিহতের স্ত্রী।
সেই ঘটনাতেই তদন্ত করে মির্জাকে এতদিনে সাসপেন্ড করা হয়েছে। যদিও ঘটনার সময় ও প্রেক্ষিত অন্যরকম হওয়ায় ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ রাজ্য রাজনীতিতে আচমকাই মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন মুকুল রায়। আর তাই প্রতিহিংসা পরায়ণ হয়ে রাজ্য মুকুলকে নানাভাবে ফাঁসাতে চাইছে। এক্ষেত্রে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও রেয়াত করছে না সরকার। এমনটাই অভিযোগ উঠল বলে।
প্রসঙ্গত, নারদ কান্ডে ম্যাথু স্যামুয়েলের কাছ থেকে নোটের বান্ডিল নিতে সরাসরি দেখা গিয়েছে আইপিএস মির্জাকে। পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে সুবিধা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা মন্ত্রীর পাশাপাশি মির্জার নামও রয়েছে।