চুরি রুখতে গিয়ে মিলল ইংরেজ আমলের অস্ত্র! উদ্যোগ ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির
মাঝে মধ্যেই ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ উঠছিল। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে কয়েকজন ধরাও পড়ে। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠছে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ।
মাঝে মধ্যেই ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্র পাচারের অভিযোগ উঠছিল। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে কয়েকজন ধরাও পড়ে। সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠছে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ। তিনটি গোডাউনে জমে থাকা যন্ত্রাংশ সাফ করা হচ্ছে। যা পরিষ্কার করতে গিয়ে ইতিমধ্যই উঠে এসেছে ২০০ বছরের প্রাচীন অস্ত্রও।
ইচ্ছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে অস্ত্রের যন্ত্রাংশ পাচারের অভিযোগ। ২০০৮ থেকে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছিল কলকাতা পুলিশ। ২০১৭-তে গিয়ে এক জুনিয়র ওয়ার্কস ম্যানেজার এবং এক ঠিকে শ্রমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর নিজেদের তরফে তদন্ত নামে রাইফেল ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ। জেনারেল ম্যানেজার ডিকে মহাপাত্র জানিয়েছেন, তদন্ত করে তাঁরা দেখেন, ব্রিটিশদের সময়ে একটি নির্দিষ্ট গুদামঘরকে স্ক্র্যাপ রাখার জন্য ব্যবহার করা হত। স্বাধীনতার পর ক্ষমতা হস্তান্তরের সময়েও তা জানানো হয়নি। কেউ জানতেনও না নির্দিষ্ট ওই গুদামে কী রয়েছে। এরই সুযোগ নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। বেশ কিছু পুরনো অস্ত্র তারা লুট করে নিয়ে গিয়েছে তারা।
যেসব জিনিস গুদামে রাখা হয়েছিল তার মধ্যে রয়েছে বাতিল করা ব্যারেলও। নিরাপত্তা বাহিনীর যোগ্যতা মান টপকাতে না পারলেও, সেগুলি দেশি পিস্তলের পক্ষে উপযোগী। দেখা গিয়েছে, প্রায় ১.৬-১.৭ লক্ষ বিভিন্ন সাইজের বাতিল ব্যারেল পড়ে রয়েছে গুদামে। ওজনে যা প্রায় ১৮৬ টনের মতো। আগে এই ব্যারেল স্ক্র্যাপ হিসেবে বিক্রি করে দেওয়া হত। কিন্তু ছয় থেকে সাত মাস ধরে মেটাল অ্যান্ড স্টিল ফ্যাক্টরিতে তা গলিয়ে ফেলা হচ্ছে। এইভাবে ২৩০ টন বাতিল এবং পুরনো অস্ত্রের যন্ত্রাংশ গলানো হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে ১৮০০ কেজির মতো লোহার বাট। যা এবার নিলামে তোলা হবে।