পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে রণক্ষেত্র আমডাঙা! বোমা-গুলির লড়াইয়ে মৃত ৩
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। মঙ্গলবার সন্ধেয় আমডাঙার তাড়াবেড়িয়ায় সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মী এবং এক সিপিএম কর্মীর।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে ফের উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা। মঙ্গলবার সন্ধেয় আমডাঙার তাড়াবেড়িয়ায় সিপিএম ও তৃণমূলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই তৃণমূল কর্মী এবং এক সিপিএম কর্মীর। সংঘর্ষে যথেচ্ছ বোমা-গুলি চলে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। সংঘর্ষ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। এলাকায় পঞ্চায়েতের বোর্ডগঠন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
মৃতরা হলেন, তৃণমূলের কুদ্দুস গনি ও নাসির হালদার। মৃত সিপিএম কর্মীর নাম মোজাফ্ফল পিয়াদা। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৮ জন। এঁদের কয়েকজন ভর্তি বারাসত হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এনআরএস-এ ভর্তি কমপক্ষে সাতজন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১০জনকে।
আমাডাঙার তাড়াবেড়িয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়েই যত গণ্ডগোল। পঞ্চায়েতের ১৯ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখল করেছিল ৯ টি আসন। সিপিএম দখল করে সাতটি আসন। বিজেপি, কংগ্রেস ও নির্দলরা একটি করে আসন পায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় তৃণমূল ও সিপিএম-এর মধ্যে লড়াই দীর্ঘদিনের। বিজেপির একটি অংশ সিপিএম-কে সমর্থনের কথা জানিয়েছিল।
বিরোধীরা আগে থেকেই অভিযোগ করছিল তাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে মামলা হয় হাইকোর্টে। হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ করার জন্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধের পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। দুপক্ষের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দুই তৃণমূল কর্মীর। প্রথমের দিকে পুলিশও এলাকায় ঢুকতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বোমাবাজি ও গুলির লড়াই চলে। শুধু তাড়াবেড়িয়াতেই নয়, সংলগ্ন মরিচা ও বোদাইও উত্তপ্ত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ যাতে এলাকায় ঢুকতে না পারে সেজন্য রাস্তাও কেটে দেওয়া হয়। রাতের দিকে বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
যদিও রাতেই আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন বহু মানুষ। এলাকায় জায়গায় জায়গায় পড়ে রয়েছে বহু বোমা। এলাকায় তৃণমূলই প্রথম হামলা চালায় বলে দাবি বিরোধীদের। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, নির্দল সদস্যের তৃণমূলকে সমর্থনের সম্ভাবনা তৈরি হতেই হামলা চালায় বিরোধীরা। সিপিএম ও বিজেপি যৌথভাবে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভোটের দিনে খুন হয়েছিলেন এক সিপিএম কর্মী।