ভুয়ো চিকিৎসক কাণ্ডে বেলভিউয়ের সিইওকে জেরা, কী জানতে পারলেন সিআইডি আধিকারিকরা?
টানা ১৩ বছর ধরে ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে বেলভিউয়ের মতো প্রথম সারির হাসপাতালে কী করে চিকিৎসা করে গেলেন জাল চিকিৎসক? কেন জানতে পারলেন না সিইও?
ভুয়ো চিকিৎসককাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল বেলভিউ হাসপাতালের। এবার এই হাসপাতালের কার্যনির্বাহী আধিকারিক (সিইও)-কে জেরা করল সিআইডি। শনিবার সকাল থেকে এই জেরা পর্ব চালাতে হাসপাতালে আসেন সিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা। এদিন টানা তিনঘণ্টা জেরা করা হয় সিইও প্রদীপ ট্যান্ডনকে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়।
শুক্রবার বেলভিউ হাসপাতাল থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো চিকিৎসক নরেন পাণ্ডেকে। এদিন সিইও-কে জেরা করে সিআইডি-র আধিকারিকরা মূলত জানতে চান, নরেন পাণ্ডের ভুয়ো ডিগ্রির ব্যাপারে কিছু জানতে পেরেছিলেন কিনা সিইও। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনও নিথপত্র কি খতিয়ে দেখা হয়েছিল তাঁকে নিয়োগ করার সময়? তাঁর ডাক্তারি সার্টিফিকেট পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল কি না তাও জিজ্ঞাসা করা হয়।
এর পাশাপাশি সিআইডি আধিকারিকরা জানতে চান, ধৃত নরেন পাণ্ডে কোন কোন দায়িত্ব পালন করত? প্রসঙ্গত এই প্রশ্নও ওঠে কেন ওই চিকিৎসকের সার্টিফিকেট খতিয়ে দেখা হয়নি। নিজেকে স্কিন স্পেশালিস্ট বলে পরিচয় দিত নরেন। এই নরেন পাণ্ডে ২০০৪ সালের মে মাস থেকে বেলভিউ নার্সিংহোমে যুক্ত ছিলেন। তাঁর নিয়োগপত্রে স্বয়ং প্রদীপ ট্যান্ডনই সই করেছিলেন বলে জানতে পেরেছে সিআইডি।
মোট কথা ১৩ বছর ধরে ভুয়ো সার্টিফিকেট নিয়ে বেলভিউয়ের মতো প্রথম সারির হাসপাতালে চিকিৎসা করে গিয়েছেন নরেন পান্ডে। কীভাবে তা সম্ভব হল? প্রদীপবাবু সিআইডিকে জানান, একজন জেনারেল ফিজিসিয়ান হিসেবেই তিনি এই হাসপাতালে যোগ দিয়েছিলেন। স্বতঋপ্রণোদিত হয়েই ইউনানি সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন তিনি। যদিও ইউনানি বিভাগ ছিল না এখানে। সিআইডি তাঁর বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে মনে করছে। ফলে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।
ওই ভুয়ো চিকিৎসকের জমা দেওয়া সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিআইডি তদন্তে নেমে আরও কয়েকজন ভুয়ো চিকিৎসকের নাম জানতে পেরেছেন। শীঘ্র তাঁদেরও সিআইডি স্ক্যানারে আনা হবে।