বঙ্গে বিজেপি ‘দূরবর্তী দ্বিতীয়’ সিপিএমের ভোটে, ‘মানসিকতা পরিবর্তনে’র বার্তা চন্দনের
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে চন্দন মিত্র স্পষ্টতই জানালেন, নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে।
বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ চন্দন মিত্র তৃণমূলে যোগ দিয়েই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। নতুন ঘরে এসে নিজেকে মুক্ত ভেবে বাংলার জন্য কিছু করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে চন্দন মিত্র স্পষ্টতই জানালেন, নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে।
চন্দন মিত্র বলেন, বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষিতে নিজের মানসিকতার পরিবর্তন করেছি। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছিল, আগে তিনি তৃণমূলকর্মীদের গুন্ডা বলেছেন, ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছেন, টুইটে সরব হয়েছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাহলে এখন তিনি কী করে সেই দলেই য়োগ দিলেন। এই প্রশ্নের জবাব স্টেট ব্যাটেই দিলেন চন্দন।
তিনি যুক্তি দেন, পাঁচ-ছ'বছর আগে যা বলেছিলাম বা লিখেছিলাম, তা সেই সময়কার রাজনীতির পরিপ্রেক্ষিতে। আমি তখন বিজেপির প্রার্থী ছিলাম, তখন কিছপু মন্তব্য করেছিলাম, বিজেপি প্রার্থী হিসেবে, বিজেপির নেতা হিসেবে যে মন্তব্য করার দরকার মনে হয়েছিল, তা করেছিলাম। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি পরিবর্তিত।
What I wrote 5-6 years ago, how is that important? These are just attempts by trolls to embarrass me. Yes I did make certain remarks as I was a candidate and a senior BJP leader in Bengal, but everyone has right to change his mind:Chandan Mitra on his earlier tweets against TMC pic.twitter.com/oX3z1bNE5b
— ANI (@ANI) July 24, 2018
তিনি
বলেন,
আমি
মনে
করি
রাজ্যে
তৃণমূলের
ভয়
পাওয়ার
কোনও
কারণই
নেই।
কারণ
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
জনপ্রিয়তা,
তৃণমূলের
জনসংযোগ
এখনও
প্রতিদ্বন্দ্বীহীন।
যদিও
বিজেপি
দ্বিতীয়
স্থানে
রয়েছে,
কিন্তু
তা
দূরবর্তী
দ্বিতীয়
স্থান।
তাও
সিপিএম
ভেঙে
যাওয়ায়
তাঁদের
কর্মী-সমর্থকদের
ভিড়েই
বিজেপির
দ্বিতীয়
স্থানে
উঠে
আসে।
এই
উত্তরণ
সাংগঠনিক
ভিত্তিতে
নয়।
উল্লেখ্য,
একুশের
মঞ্চে
লালকৃষ্ণ
আদবানির
ঘনিষ্ঠ
এই
বিজেপি
নেতা
তৃণমূলে
যোগদান
করেন।
[আরও পড়ুন: কোন জাদু-দণ্ডে ৪২-কে ২৭২ করবেন 'একা' মমতা! রাহুলের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় অধীর]
নতুন ঘর পেয়ে একরাশ অভিযোগ করেন বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, সরকারে এসে একের পর এক জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই কারণে যে জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি সরকারে এসেছিলেন, এই চার বছরে তা তলানিতে পৌঁছেছে।
[আরও পড়ুন:মমতা প্রধানমন্ত্রী হলে আপত্তি নেই, রাহুলের বার্তায় নেত্রীর 'প্রতিক্রিয়া' সুদীপ-বয়ানে]