মমতাই ভরসা মোদীর! চিঠি লিখে নবান্নের সাহায্যপ্রার্থী কেন্দ্রের বিজেপি সরকার
কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার জানিয়ে দিল, বাংলার খাদ্যের উপরই ভরসা করে আছেন তাঁরা। বাংলা যদি চাল পাঠায় তবেই তিন রাজ্যের খাদ্যসংকট মিটতে পারে।
নবান্নে কেন্দ্রের চিঠিতে রাজ্যের সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদীর সরকার জানিয়ে দিল, বাংলার খাদ্যের উপরই ভরসা করে আছেন তাঁরা। বাংলা যদি চাল পাঠায় তবেই তিন রাজ্যের খাদ্যসংকট মিটতে পারে। কেন্দ্রের তরফে নবান্নে চিঠি দিয়ে আর্জি জানানো হল বাংলার উদ্বৃত্ত চাল তিন রাজ্যে পাঠাতে।
শনিবার কেন্দ্রের এই চিঠি এসে পৌঁছয় নবান্নে। খাদ্য দফতরের প্রধান সচিবকে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র। এদিনই এই চিঠি প্রকাশ করেন খাদ্য দফতরের সচিব। খাদ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই চিঠিকে রাজ্যের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। রাজ্য মনে করছে কেন্দ্রে খাদ্য চেয়ে চিঠি পাযানোর প্রমাণ হয়ে গেল রাজ্য শস্য উৎপাদনেও সেরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অভিমত, এই চিঠিই জানিয়ে দিস, বাংলায় খাদ্যের অভাব নেই। পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য সরবরাহ করে অন্য রাজ্যকে জোগান দিতে সক্ষম। কেন্দ্র যখন আর্জি জানিয়েছে, অবশ্যই উদ্বৃত্ত খাদ্য পাঠানো নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু ও কেরালায় খাদ্যশস্য সরবরাহ করা জরুরি। বাংলা যদি তাঁদের উদ্বৃত্ত চাল ওই তিন রাজ্যে পাঠায় সমস্যার সমাধান হবে সহজেই।
উল্লেখ্য, এই তিন রাজ্যের মধ্যে রয়েছে বিজেপি শাসিত একটি রাজ্য। ঝাড়খণ্ডে বিজেপির রাজ্যেও খাদ্যশস্যের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাংলা থেক সেখানেও খাদ্য শস্য পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে সিপিএম পরিচালিত কেরালা সরকার ও এআইএডিএমকে-র তামিলনাড়ু। এই তিন রাজ্যে খাদ্য শস্য পাঠানোর জন্যই নবান্নে চিঠি লিখেছে কেন্দ্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজ্যের সরকার যে উন্নয়নের নিরিখি এগিয়ে চলেছে এই চিঠিতে সেই স্বীকৃতিই রয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের পাশাপাশি কৃষিশস্য উৎপাদনেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে তৃণমূল সরকার। নিজের রাজ্যের প্রয়োজন মিটিয়ে উদ্বৃত্ত শস্য রয়েছে তাদের হাতে। সেই কারণেই কেন্দ্র তাঁদের উপর নির্ভর করেছে। প্রতিবেশী রাজ্যে খাদ্যশস্য পাঠিয়ে তাই এই আস্থার মর্যাদা রাখা হবে বলে শীঘ্র জানিয়ে দেবে রাজ্যের খাদ্য দফতর।