আর্থিক প্রতারণা মামলা, কৌস্তুভ রায় ও শিবাজি পাঁজাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিবিআই-এর
নীরব মোদীর ঘটনা সামনে আসার পরে সিবিআই আর্থিক প্রতারণা মামলায় আরপি সিস্টেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সংস্থার চার অংশীদারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই। সিবিআই তাঁদেরকে প্রশ্ন করাও শুরু করে।
ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায় এবং শিবাজি পাঁজাকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করল সিবিআই। জাল নথি দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ব্যাঙ্ক থেকে ৫১৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আরপি ইনফো সিস্টেমের বিরুদ্ধে।
[আরও পড়ুন:মুকুলের পর কি শোভন! কোর কমিটির বৈঠকের পরই ইস্তফার জল্পনা তৃণমূলের অন্দরে]
নীরব মোদীর ব্যাঙ্ক প্রতারণা কাণ্ডের পরেই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। ব্যাঙ্ক প্রতারণার বিভিন্ন ঘটনা সামনে আসতে থাকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-এর তরফে কৌস্তুভ রায় এবং শিবাজি পাঁজার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই। আরও দুই ব্যবসায়ী বিনয় বাফনা ও দেবনাথ পালের বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইএ-র করা এফআইআর-এ বলা হয়, কলকাতার লোয়ার সার্কুলার রোডে কানাড়া ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ডিভিপ্রসাদ রাও ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে অভিযোগ ছিল, আরপি ইনফোসিস্টেমের চার কর্তা কৌস্তুভ রায়, শিবাজি পাঁজা, দেবনাথ পাল, বিনয় বাফনা ১০ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ৫১৫ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা জালিয়াতি করেছেন।
সিবিআই-এর দায়ের করা এফআইআর-এ আরপি ইনফো সিস্টেমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল লেটার অফ ক্রেডিটের বিষয়টিও। অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়ার সময় আরপি ইনফোসিস্টেম বিভিন্ন নামী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে তাদের ব্যবসায়িক সম্পর্কের যে নথি পেশ করেছিল তার অধিকাংশই জাল।
লোয়ার সার্কুলার রোডে কানাড়া ব্যাঙ্কের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ডিভিপ্রসাদ রাও তাঁর অভিযোগে জানিয়েছেন, আর পি ইনফোসিস্টেম তাদের ব্যবসার সম্প্রসারণের ডন্য ২০১২-১৩ সালে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে শুরু করে। সেই সময় কোল্যাটারাল সিকিউরিটি হিসাবে ব্যাঙ্কের কাছে যে সম্পত্তি দেখাতে হত, তা আর পি ইনফোসিস্টেমের ছিল না। কিন্তু জাল নথির ভিত্তিতেই লোন নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন ডিভি প্রসাদ রাও।
[আরও পড়ুন: ক্রমশই অর্থবান হচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি! কে কতটা বড়লোক, জানুন বিস্তারিত]