শুভেন্দুর বিরুদ্ধেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ! বিধায়ক শিউলি সাহার মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মামলা হাইকোর্টে
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রীতিমত চাপ বেড়েছে শাসক তৃণমূলের! নাম জড়িয়েছে খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শিক্ষা অধিকর্তার। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন। আর এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের স্প
নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে রীতিমত চাপ বেড়েছে শাসক তৃণমূলের! নাম জড়িয়েছে খোদ প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক শিক্ষা অধিকর্তার। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন। আর এই অবস্থায় কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট বার্তা, দুর্নীতির একেবারে রন্ধ্রে পৌঁছতে হবে। আর সেই মতো সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও।
আর এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি মধ্যেই টানা শুভেন্দু অধিকারীর নাম! বিধায়ক শিউলি সাহার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ করা হয়। যদিও সেই মামলা খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি আদালতের পর্যবেক্ষণ,
১৩ বছর পর কেন মামলা দায়ের হল? এমনকি চাকরি প্রার্থী কেন এতদিন হাইকোর্টে আসেননি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভিযোগ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এরপরেই মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়। যা অবশ্যই বিরোধী দলনেতার কাছে স্বস্তির খবর। জানা যাচ্ছে,
২০০৯ সাল অর্থাৎ বাম আমলে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। কিন্তু পরীক্ষা হয়নি সেই সময়ে। যদিও ২০১২ সালে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওই নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে এই অভিযোগ তুলে আজ শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন শিবশক্তি সিট-সহ ৩৫ জন।
মামলকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানান, গত জুন মাসে শিউলি সাহা প্রকাশ্য জনসভা থেকে বলেছেন, দাদামনি আমি বোর্ডে ছিলাম। পূর্ব মেদিনীপুরে কী ভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে তা আমি জানি। আর এরপরেই
বিচারপতি:র
পর্যবেক্ষণ,
কেউ
একজন
কী
মন্তব্য
করলেন
তা
নিয়ে
একটি
দুর্নীতির
মামলা
হতে
পারে
না।
এর
জন্য
যথেষ্ট
প্রমাণ
দরকার।
পাশাপাশি
এক
মামলাকারীর
কাছে
বিচারপতি
জানতে
চান,
চাকরি
পাওয়ার
ইচ্ছা
থাকলে
এত
দিনেও
কেন
আদালতে
আসেননি?
মামলকারীর উত্তর, রাজনৈতিক ভয়ে। তা ছাড়া তখন আমরা জানতাম না অবৈধ উপায়ে কারা চাকরি পেয়েছেন?
এরপরেই মামলাকারীর উদ্দেশ্যে বিচারপতির আরও প্রশ্ন, এলাকায় একজন শিক্ষকের চাকরি পেলে ১০০ জন জেনে যায়। অথচ আপনারা জানেননি। আর ভয় পেলে শিক্ষকতা করবেন কী ভাবে? ছাত্রদের কী শেখাবেন? একটু সাহস দেখিয়ে আদালতে আসতে পারেননি। এখন সুযোগ বুঝে আদালতে চলে এসেছেন। এই মামলা তো গ্রহণ হতে পারে না বলেও পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বলে রাখা প্রয়োজন, নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারি খুঁজতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আর সেই তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসছে। আর এর মধ্যেই নয়া এই মামলা ঘিরে বিতর্ক তৈরি হলেও তা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারপতি।
'DA অধিকার', মনে করিয়ে ছয় জানুয়ারির মধ্যে বকেয়া ডিএ রাজ্যকে মেটাতে নির্দেশ হাইকোর্টের