খাদ্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ
ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খাদ্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির উপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
ফের নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। খাদ্য দফতরের চুক্তিভিত্তিক ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই বিজ্ঞপ্তির উপরেই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
মামলার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে বলে নির্দেশে জানিয়েছেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের। আজ বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই সংক্রান্ত শুনানি হয়। সেখানেই এহেন নির্দেশ আদালতের। যা অবশ্যই বড় ধাক্কা রাজ্য সরকারের। এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাস আগে দুয়ারে রেশন ব্যবস্থা চালু করার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ডাকা এন্ট্রি পদের জন্য বেশ কিছু নিয়োগ করা হয়। ১৬১ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল এই পদের জন্য। ২০২১ সালের ৮ ই অক্টোবর নিয়োগ করা হয়। চুক্তিভিত্তিক ওই কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। কিন্তু হঠাত করেই ১৬১ জনকে কাজ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়।
চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কার্যত ছাঁটাই করা হয় ওই সমস্ত কর্মীদের। আইনজীবীর কথা মতো, চলতি বছরের ৩০ শে এপ্রিল চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু হঠাত করেই ফের নিয়োগের পথে হাঁটে খাদ্যদফতর। নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বলে দাবি মামলাকারীদের আইনজীবীর। চলতি বছরের ২৪ শে জুন তা জারি করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
নোট ৩৪২ জনকে নিয়োগ করতে চেয়ে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় খাদ্য দফতরের তরফে। আর ওই ডেটা এন্ট্রি পদে নিয়োগের জন্যেই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। আর এখানেই বিতর্কের সূত্রপাত। খাদ্য দফতরের তরফে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরি যাওয়া কর্মীরা। ১৬১ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মামলা করেন।
কাজের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কীভাবে ছাটাই এবং নতুন নিয়োগও বা কীভাবে? এই সমস্ত বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে কার্যত মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে এই মামলা হয়। আজ বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। যেখানে একাধিক বিষয়কে সামনে তুলে আনেন মামলাকারীদের আইনজীবী। এমনকি সুপ্রিম কোর্টের বেশি কিছু গাইডলাইনের কথাও উল্লেখ করা হয়।
এমনকি প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। আর তা না শেষ হওয়ার আগেই নিয়োগ করা হচ্ছে বলে আদালতে জানান আইনজীবী। পালটা রাজ্যের তরফেও বেশ কিছু তথ্য জানানো হয়। দুপক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত হলফানামা পেশের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে হলফনামা পেশের নির্দেশ। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি রয়েছে। এর মধ্যেই এই হলফনামা পেশের নির্দেশ বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের।
জেল-সংবাদ শুনেই ভেঙে পড়লেন অনুব্রত? তৃণমূলের মিছিলে দাদার নামে স্লোগান