নবম এবং দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ হাইকোর্টের
নবম এবং দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
নবম এবং দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করার জন্য স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। আগামীকাল বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আজ
বুধবার
এই
সংক্রান্ত
একটি
মামলার
শুনানি
হয়
বিচারপতি
গঙ্গোপাধ্যায়ের
এজলাসে।
সেখানেই
এই
সংক্রান্ত
তালিকা
স্কুল
সার্ভিস
কমিশনকে
প্রকাশের
নির্দেশ
দিয়েছে
হাইকোর্ট।
শুধু
তাই
নয়,
স্কুল
সার্ভিস
কমিশনের
ওয়েবসাইটে
এই
তালিকা
প্রকাশের
নির্দেশও
দেওয়া
হয়েছে।
মোট
১৮৩
জনের
নামের
তালিকা
প্রকাশ
করা
হবে
বলে
জানা
যাচ্ছে।
যা
নিঃসন্দেহে
বড়
চাপ
স্কুল
সার্ভিসের
কাছে।
এমনটাই
মনে
করা
হচ্ছে।
এর আগে ভুয়ো নিয়োগের তালিকা ঠিক করতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং সমস্ত আইনজীবীদের আলোচনা করে কতজন ভুয়ো নিয়োগ সেই সংক্রান্ত তালিকা চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। এরপরেই কমিশন জানিয়েছিল যে ১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে বলে তারা জানতে পেরেছেন।
তবে এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছেন? সেই সংক্রান্ত তথ্যই জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এদিন মামলার শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকে থামানোর পরিবর্তে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে। এটা বিস্ময়কর। এমনকি এহেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আদালত রাজ্যের সাহায্য উচিৎ বলেও শুনানি তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
অন্যদিকে মামলার শুনানিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে বেশ কিছু প্রশ্নও করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানতে চান, ১৮৩ বেআইনি সুপারিশ খুঁজে পেলেও তা বাতিলের জন্য কি পদক্ষেপ? কি কি বেআইনি কাজ খুঁজে পেয়েছে কমিশন? তা নিয়েই এদিন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতির। তবে মেধাতালিকায় নিচের দিকে থাকা প্রার্থীদের উপরের দিকে নিয়ে এসে চাকরি দেওয়া হয় হয়েছে বলেও জানিয়েছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন।
বলে রাখা প্রয়োজন, ভুয়ো নিয়োগের জন্যে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা নিয়ে ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট। কেন এমন সিদ্ধান্ত তা নিয়ে বিস্তারিত জানতে শিক্ষা সচিবকে তলব করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নির্দেশেই যে এমন শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল বলে আদালতে জানিয়ে ছিলেন শিক্ষাসচিব। যদিও এই বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
যদিও পরে এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে প্রথমে ডিভিশন বেঞ্চ এবং পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ বহাল রাখলেও, সুপ্রিম কোর্ট সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
India's GDP Growth: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি? জিডিপি দর হল 6.3 শতাংশ