শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ইস্যুতে স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট
শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিল ইস্যুতে স্থগিতাদেশ দিল না হাইকোর্ট
রাজ্যের আবেদন খারিজ। শান্তিনিকেতনে পৌষ মেলার মাঠে পাঁচিলের ওপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি বুধবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের গঠিত কমিটির নির্দেশে পুনরায় ফেন্সিং তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু তারপর থেকেই আবারো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বোলপুরে জায়গায় জায়গায় মাইকিং করা হয় স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্বভারতীর আশ্রমিকদের তাঁদের প্রতিবাদে শামিল হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
তার পরিপ্রেক্ষিতে দিন বিশ্বভারতী নিয়ে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলায় পৌষ মেলার মাঠ ঘেরার কাজ আপাতত বন্ধ রাখার আবেদন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফ এ আবেদন করেন এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। তিনি তার আবেদনে সাড়া না দিয়ে এদিন রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, স্থানীয়রা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। পুলিশ কোনক্রমে সামাল দিচ্ছে। এরকম হলে পুলিশকে হয় মার খেতে হবে নয়তো গুলি খেতে হবে জনতাকে সামাল দিতে।
এ প্রসঙ্গে আদালতের মন্তব্য, পুলিশ না পারলে আদালত জানে কীভাবে সামাল দিতে হয়। পৌষ মেলার মাঠের ঐতিহ্য রয়েছে। রবীন্দ্রনাথের ভাবনা, সংস্কৃতিকে আদালত নষ্ট হতে দেবে না।
আদালত স্পষ্ট করে দিয়েছে, ওই মাঠ বিশ্বভারতীর। তারা চাইলে পাঁচিল তুলতেই পারে। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অর্ক কুমার নাগ চিঠি লিখে এদিন সকালে জরুরি শুনানির আর্জি জানান। তিনি লেখেন, পরিবেশ আদালতে গত ২০১৭ সালের নভেম্বরে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ মাঠে পাঁচিল দেবে বলে লিখিত দেয়।