তৃণমূলী তাণ্ডব অব্যাহত, গাড়ির চাবি দিতে অস্বীকার করায় ব্যবসায়ীকে প্রহার কাউন্সিলর অনুগামীদের
কলকাতা, ১২ অক্টোবর : গাড়ি থামিয়ে চাবি কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করে প্রহৃত হলেন বাগুইআটির এক ব্যবসায়ী। পুজোর মহানগরের গুন্ডামির ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। প্রহৃত বব্যসায়ীর নাম উত্তমকুমার গুপ্ত। অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলরের প্ররোচনায় তাঁর অনুগামীরা ওই ব্যবসায়ীর উপর চড়াও হয়ে গাড়ি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এমনকী তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ।
ঘটনার সূত্রপাত অষ্টমীর রাতে। পরিবার-পরিজনকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন বাগুইআটির ওই কেবল ব্যবসায়ী। জ্যাংড়া মোড়ের কাছে কয়েকজন যুবক তাঁর গাড়ি থামায়। বলে, অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে গাড়ি দিতে হবে। গাড়ি দিতে অস্বীকার করায় চাবি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায় তারা। হুমকি দেওয়া হয় গাড়ি থেকে নেমে যেতে। তা না হলে মারধর করা হবে। ওই ব্যবসায়ী তখন বাধা দেন তাদের। বলেন, তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছেন, তার পক্ষে গাড়ি থেকে নেমে যাওয়া সম্ভব নয়। তখনই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। কোনওরকমে বাড়ি ফিরে আসেন ওই ব্যবসায়ী।
পরদিন অর্থাৎ নবমীর সকালে এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর তাঁকে ডেকে পাঠান। প্রথমে ওই ব্যবসায়ী যেতে না চাওয়ায় তাঁকে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয়। কাউন্সিলরের সামনেও ব্যবসায়ীকে বেধড়ক প্রহার করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন কাউন্সিলর। তাঁর দাবি তিনি না থাকলে আরও বেশি মার খেতে হয় ব্যবসায়ীকে। তিনিই মারধরের ঘটনা প্রশমিত করে ব্যবসায়ীকে বাড়ি পাঠান।
সুজিতবাবু জানান, অষ্টমীর রাতে এলাকায় একটা দুর্ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় জখম যুবককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি চাওয়া হয়েছিল। দুর্ঘটনাগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরাই ঠেলাঠেলি করার সময় পড়ে যান ওই ব্যবসায়ী। ক্যালভার্টে লেগে কপাল ফেটে যায়।
পুরো ঘটনার বিবরণ জানিয়ে বুধবার বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যবসায়ী। কাউন্সিলরের প্ররোচনাতেই যে তাঁকে মারধর করা হয়েছে, অভিযোগে তা উল্লেখও করেছেন তিনি। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
শাসকদলের নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন দলীয় নেতৃত্বকে সমঝে চলার ফরমান দিচ্ছেন, তখন এই ধরনের ঘটনা আবারও শাসকদলকে কাঠগড়ায় তুলে দিল। পুজোর মধ্যেই শাসকদলের সদস্যদের দাদাগিরির সাক্ষী থাকল শহর কলকাতা।