টালিগঞ্জে বেমাক্কা বাসের গতির রেস, চাকায় পিষে গেল ঠাকুমা ও নাতি
টালিগঞ্জ রেল ব্রিজের কাছে ফের দুর্ঘটনা। এবার বাসের ধাক্কায় পিষ্ট হলেন ঠাকুমা ও তাঁর নাতি। ঘটনার জেরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন স্থানীয়রা।
রাস্তা পার হতে গিয়ে বাসের চাকায় পিষ্ট হলেন ঠাকুমা ও তাঁর ১০ বছরের নাতি। ঘটনাটি টালিগঞ্জ রেল ব্রিজের কাছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে। ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা রাস্তা অবরোধ শুরু করেন। এর জেরে শ্য়ামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে ১০ বছরের নাতিকে নিয়ে টালিগঞ্জ রেল ব্রিজের কাছে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ঠাকুমা। সে সময় ৪০বি রুটের একটি বাস এসে ঠাকুমা ও নাতিকে ধাক্কা মারে। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসটি ধাক্কা মারার পরও গতি নিয়ন্ত্রণ করে নি। ঠাকুমা ও নাতির শরীরে উপর দিয়ে গাড়ির চাকা বেরিয়ে যায়। মোদী আলির বাস স্টপের কাছে ঘাতক বাসটিকে আটক করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বাসটি অন্য একটি বাসের সঙ্গে রেষারেষি করছিল। যার পরিণতিতে এই দুর্ঘটনা। টালিগঞ্জ ব্রিজের মুখেই চারু মার্কেট এলাকা। যেখান থেকে বহু মানুষ রোজ সকালে এখানে রাস্তা পারাপার করেন। কিন্তু, এখানে কোনও সিগন্যাল এবং জেব্রা ক্রসিং নেই। যার ফলে বাস থেকে শুরু করে ট্রাক, লরি-সবসময়ই গতির ঘোড়া ছুটিয়ে যাতায়াত করে। এর আগেও বহুবার এই জায়গায় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি এখানে বেশ কয়েক বার লরি দুর্ঘটনাও হয়। টালিগঞ্জ রেল ব্রিজে বেশ কয়েকবার লরি আটকে গিয়ে বিপত্তিও হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এরপরও পুলিশ প্রশাসনের চোখ খোলেনি।
এদিন ঠাকুমা ও নাতিকে বাসের চাকার তলায় পিষ্ট হতে দেখে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এলে উত্তেজিত জনতার সঙ্গে বচসা বেঁধে যায়। অভিযোগ এই পরিস্থিতিতে এক ট্র্যাফিক পুলিশকর্মী এক উত্তেজিত জনতাকে মারধর করে। এতে আরও বেশি করে ক্ষিপ্ত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা রাস্তাঅবরোধ শুরু করেন। পরিস্থিতি বেসামাল দেখে চারু মার্কেট থেকে পুলিশবাহিনী আনা হয়। অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচলের অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দেন চারু মার্কেট এলাকার মানুষ। তাঁরা রাস্তা অবরোধ শুরু করে দেন। এর জেরে টালিগঞ্জ থেকে রাসবিহারী রুটে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোডে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গিয়েছে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া ঠাকুমা ও নাতির অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের এম আর বাঙুর হাসাপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আটক করা হয়েছে ঘাতক বাসিটিকেও। পালানোর চেষ্টা করলেও আটক হয়েছে ঘাতক বাসের চালক।