ঘোলায় পুড়ে যাওয়া কারখানার ৫ শ্রমিকের দেহাংশ উদ্ধার! শেষকৃত্য সম্পন্ন
বিধ্বংসী আগুন লাগার ৫ দিন পর ঘোলার প্লাস্টিক কারখানায় নিখোঁজ থাকা ৫ শ্রমিকের দেহাংশ উদ্ধার করা হল।
বিধ্বংসী আগুন লাগার ৫ দিন পর ঘোলার প্লাস্টিক কারখানায় নিখোঁজ থাকা ৫ শ্রমিকের দেহাংশ উদ্ধার করা হল। সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ ঘোলার ওই কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। বৃহস্পতিবার রাতে কারখানায় ওয়েল্ডিং রুমের কাছে দেহাংশ পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, একটি র্যাকের নিচে দেহাবশেষগুলি চাপা পড়ে ছিল।
শুক্রবার
বিকেলে
দেহাবশেষগুলি
উদ্ধার
করে
নিয়ে
যাওয়া
হয়
উত্তর
২৪
পরগনার
পানিহাটি
স্টেট
জেনারেল
হাসপাতালে।
সেখান
থেকে
ব্যারাকপুর
হাসপাতালের
মর্গে।
কিন্তু
দেহাবশেষ
কোথায়
নিয়ে
যাওয়া
হয়েছে,
তা
নিয়ে
পরিবারের
মধ্যে
অনিশ্চয়তা
ছড়ায়।
পরিবারগুলির
তরফে
অভিযোগ
করা
হয়,
দেহ
কোথায়
নিয়ে
যাওয়া
হয়েছে,
তা
নিয়ে
তাদেরকে
কিছুই
জানানো
হয়নি।
পরে
অবশ্য
ব্যারাকপুর
মর্গে
গিয়ে
দেহ
সনাক্তকরণ
করা
হয়।
তবে
দেহের
বেশিরভাগটাই
পুড়ে
যাওয়ায়
সনাক্তকরণ
প্রক্রিয়া
ছিল
বেশ
জটিল।
কারও
প্যান্ট,
কারও
খৈনির
কৌট
দেখে
সনাক্তকরণ
করা
হয়।
তবে
বেশিরভাগেরই
দেহাংশ
বলতে
কিছুই
ছিল
না।
জানিয়েছেন
প্রতিবেশী
ও
বন্ধুরা।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, উদ্ধারকারী দলের অনুমান, ওই পাঁচজন ওয়েল্ডিং রুমের পাশ দিয়ে বেরনোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই সময় ঘরেই র্যাক চাপা পড়েন তাঁরা।
সোমবার বেলা ১২ টা। সোদপুর-বারাসত রোডের কাছেই ঘোলার একটি তিনতলা বাড়িতে ধোঁয়া দেখা যায়। প্ল্যাস্টিকের মতো দাহ্য বস্তু মজুত থাকায় মুহুর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই তিন কিমি দূর থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলি দেখা যায়। প্রাথমিক ভাবে কারখানার কর্মীরাই আগুন নেভানোর কাজে হাত নাগান। কিন্তু কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। আশপাশের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ২৫ টি দমকলের গাড়ি সেখানে যায়।