বাঙালি প্রধানমন্ত্রী দেখতে চান ! স্বপ্নের জগৎ থেকে নেমে বাস্তবের শিক্ষা দিলেন দিলীপ
‘বাঙালি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন, তা তো আমরাও দেখতে চাই। কিন্তু হিসেবে তো কুলাচ্ছে না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ।
'বাঙালি রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। এবার বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হন, তা তো আমরাও দেখতে চাই। কিন্তু হিসেবে তো কুলাচ্ছে না।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব প্রসঙ্গে এমনই অভিমত বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, 'স্বপ্ন থাকা ভালো, কিন্তু রাজনীতি বড় কঠিন বাস্তব। তা অস্বীকার করবেন কী করে।'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী! অলীক কল্পনা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কপিলমুনি আশ্রমের প্রধান মহন্ত জ্ঞানদাস মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে বসিয়ে সওয়াল করেন, আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই প্রধানমন্ত্রী চাই। দেশের কল্যাণে তাঁকেই দরকার দিল্লির কুর্সিতে। এই প্রসঙ্গেই বিজেপি রাজ্য সভাপতি কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই দাবিকে অলীক কল্পনা বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি।
ভালোই আশীর্বাদ করেছেন প্রধান মহন্ত
বিজেপি রাজ্য সভাপতি আরও বলেন, সাধু-সন্তদের কাজ হল আশীর্বাদ করা। তিনি ভালোই আশীর্বাদ করেছেন! আমরা তো অনেক সময় কানা ছেলেকেও পদ্মলোচন বলি। অনেক কল্পনার জাল বুনি। কল্পনা করতে, স্বপ্ন দেখতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে রাজনীতিটা কঠিন বাস্তব।
রামমন্দির : সংখ্যালঘু মনে প্রভাব
তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো রামমন্দির প্রতিষ্ঠাকে সমর্থন করেননি। কিন্তু প্রধান মহন্ত দাবি করলেন রামমন্দির বানাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা জানার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মনের ওপর কী প্রভাব পড়বে, সেটাই এখন চিন্তার বিষয় ওনার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী বানাতে গিয়ে প্রধান মহন্ত যে একটা বাণ ছেড়েছেন, তা সমালাতেই মুখ্যমন্ত্রী সমস্যায় পড়বেন।
ভুল তথ্যে ভরা বক্তব্যের তোপ
এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ফসল বিমা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ভুল দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আমলারা তাঁকে ভুল তথ্য সরবরাহ করছেন। তাঁর দাবি, ফসল বিমার টাকা বাড়ার পর থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার বাড়তি টাকা দিচ্ছে। কত টাকা দিচ্ছে, রাজ্য সরকারই সেই ব্যাপের সঠিক তথ্য় দেয় না। ২০১১ সালের পর থেকে কোনও আপডেট নেই বলে তাঁর অভিযোগ।