বিজেপি মরিয়া তৃণমূলকে রুখতে, কলকাতা পুরভোটে লড়াই জেলার শক্তি দিয়ে
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছিল বিজেপিকে। তারপর উপনির্বাচনে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে একেবারে শেষ সময়ে এসে তৃণমূলকে লড়াই দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। জেলা দিয়েই কলকাতা পুরভোটে সাফল্য আনতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারীরা।

সে অর্থে কলকাতা পুরসভায় বিজেপির তেমন শক্তি নেই, যে শক্তি দিয়ে তারা তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে অনায়াসে। কিন্তু চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই। জেলায় বিজেপির শক্তি অপেক্ষাকৃত বেশি। সেই শক্তি দিয়েই কলকাতায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই লড়তে চলেছে বিজেপি।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জেলা নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, কলকাতার ভোটে কোনও অভিযোগ উঠলে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। কারচুপির অভিযোগ পেলেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনে তদ্বির তো করবেই, সেইসঙ্গে জেলা নেতৃত্বকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে, যে কোনও মুহূর্তে আন্দোলনে নামার জন্য।
রাত পোহালেই রবিবার ভোট কলকাতায়। কলকাতা পুরসভায় ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৪২টিতে লড়াই করছে বিজেপি। এই লড়াইকে তীব্র করতে বিজেপির তরফে সমস্ত দলীয় বিধায়ককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা দফতরে উপস্থিত থাকতে। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ গেলেই জেলায় জেলায় অবরোধ-বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নিতে হবে বিজেপি বিধায়কদের।
বিজেপি স্থির করেছে, কলকাতা পুরসভার ভোট শুরু হলে তিন ঘণ্টা বিজেপি দেখবে। সকাল ১০টার পর রাজ্য নেতৃত্ব আন্দোলনের পথে হাঁটবে কলকাতার ভোটে কোনও অভিযোগ বা কারচুপি দেখলেই। জেলায় জেলায় হবে পথ অবরোধ। তেমনই নির্দেশ গিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে। কলকাতার আশেপাশের জেলাগুলিকে বেশি সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
কলকাতা সন্নিবিষ্ট জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। হাওড়া ও হুগলিও কলকাতার কাছেই। মূলত এই চার জেলা নেতৃত্বকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের পরবর্তী নির্দেশ পাওয়ার জন্য। আগে থেকে তাঁদের প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। যাতে নির্দেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা ময়দানে নামতে পারে।
কলকাতা পুরভোটের দিন বেশিরভাগ বিধায়কই শহরে থাকতে পারবেন না। কলকাতার ভোটার যাঁরা তাঁরা থাকতে পারবেন কলকাতার অন্দরেই। যেমন আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও অগ্নিমিত্রা পাল থাকতে পারবেন কলকাতায়। তাঁকে বিজেপির রাজ্য দফতরে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া রাজ্য দফতরে থাকবেন পুরভোটের দায়িত্বে থাকা দুই সাংসদ অর্জুন সিং ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোকে। থাকবেন রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী।