খুনের মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন মুকুলের, কংগ্রেস নেতার রহস্যমৃত্যুতে হাইকোর্টে মিলল স্বস্তি
অবশেষে মিলল স্বস্তি। বীজপুরের কংগ্রেস নেতা নিজের রাজনৈতিক গুরু মৃণালকান্তি সিংহরায়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
অবশেষে মিলল স্বস্তি। বীজপুরের কংগ্রেস নেতা নিজের রাজনৈতিক গুরু মৃণালকান্তি সিংহরায়ের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় শর্তসাপেক্ষে জামিন পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। মঙ্গলবার মুকুল রায়ের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি রবিকিষাণ কাপুরের ডিভিশন বেঞ্চ।
গত বছরের ডিসেম্বরে মৃণালকান্তি সিংহরায়ের বোন সোনালিদেবী ব্যারাকপুর আদালতে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তারপর ৯ জানুয়ারি আদালত বীজপুর থানাকে এফআইআর করে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেয়। এরপরই ভারতীয় ফৌজদারি বিধির ৩০২, ৩০৪, ৩২৫ ও ১২০বি ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে মুকুল রায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। তিনি আগাম জামিনের আবেদন করেন।
[আরও পড়ুন:রাজনৈতিকভাবে লোকসভায় লড়ুন, শুভেন্দুর বিরোধীশূন্য করার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জ দিলীপের ]
মুকুল রায়ের দাবি, এই মামলা করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলেই তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। তাই তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক। সরকারি আইনজীবীদের পক্ষে যথারীতি তাঁর জামিনের বিরোধিতা করা হয় এদিন। শেষপর্যন্ত অবশ্য ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তাঁর মুকুল রায়ের জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। তাঁকে ১৪ জিন অন্তর অর্থাৎ দু সপ্তাহে এক বার করে বীজপুর থানায় হাজিরা দিতে হবে।
[আরও পড়ুন: শুভেন্দু তৃণমূল, নাকি কাজ করছেন অমিত শাহের হয়ে! সংশয়ে তাল ঠুকলেন সেলিম]
কাঁচরাপাড়ার কংগ্রেস নেতা মৃণালকান্তি সিংহরায়ের হাত ধরেই রাজনীতির আঙিনায় প্রবেশ মুকুল রায়ের। তারপর তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হল। এখন বর্তমানে। এরই মধ্যে ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে তাঁর রাজনৈতিক গুরু মৃণালকান্তি সিংহরায়ের মৃত্যু হয়। দাদার মৃত্যুর ঘটনায় এতদিন পরে মামলা রুজু হয়।