মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে বিজেপির প্রতিনিধি, সৌজন্যের রাজনীতিতে পাল্টা চাল
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায় আমন্ত্রণ জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায় আমন্ত্রণ জানানো হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসেন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্ব তিনজনের প্রতিনিধি দল কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে যান।
তৃণমূলের মুখ্যসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যাবে না বাজপেয়ীর স্মরণসভায়। তা সত্ত্বেও বিজেপি সিদ্ধান্ত নেয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভাকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে, আমন্ত্রণ জানানো হবে তৃণমূলকে। সেইমতোই আমন্ত্রণ জানানো হল মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে গিয়ে।
বিজেপির ইচ্ছা অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভাকে সর্বদলীয় সভা হিসেবে প্রতিপন্ন করা। সেই লক্ষ্যে সিপিএম-কংগ্রেসকে আগেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলকেও আমন্ত্রণ জানানো হল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বটেই, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকেও আমন্ত্রণ জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অটলবিহারী বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তাই তাঁর উপস্থিতি আমাদের কাছে একান্ত কাম্য। আশা করি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত হবেন বাজপেয়ীজির স্মরণসভায়।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে তৃণমূল মুখ্যসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তৃণমূল উপস্থিত থাকবে না অটলবিহারী বাজপেয়ীর স্মরণসভায়। তাঁর যুক্তি ছিল, বাজপেয়ীজিকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি গিয়েছিলেন। তাঁর শেষকৃত্যে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। দিল্লিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাজ্যস্তরে শ্রদ্ধা জানালে বাজপেয়ীজিকে অপমান করা হয়।
[আরও পড়ুন: বিজেপি শাসিত রাজ্যে জারি হল ড্রেস-কোড, বিরোধীরা বলছে জমিদারি মানসিকতা ]
এ বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, আমরা দেশের শতাধিক জায়গায় বাজপেয়ীজির অস্থি বিসর্জন দিয়েছি। তাঁর স্মরণসভায় সব দল আসুক আমরা চেয়েছি। কারণ বাজপেয়ীজি রাজনীতির ঊর্ধ্বের একজন মানুষ ছিলেন। তাই তাঁর স্মরণসভায় সংকীর্ণ রাজনীতির ভেদাভেদ থাকুক আমরা চাইনি। আমরা আমাদের কর্তব্য করেছি। এবার তাঁরা আসবেন কি না, তাঁদের ব্যাপার। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এ ক্ষেত্রে রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠা উচিত। তাই ওঁদেরও আহ্বান করছি। বাকিটা তৃণমূলের ব্যাপার। মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাপার।
[আরও পড়ুন:বিমানবন্দরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি নেত্রী লকেট, ভর্তি নয়াদিল্লির হাসপাতালে ]