হাইকোর্টে তৃণমূলের 'সমস্যা' বাড়াল বিজেপি! কী বলছেন অধীর
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ক্যাভিয়েট দাখিল করল বিজেপি। বিজেপির অনুপস্থিতি যাতে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানি না হয় সেই জন্যই এই ক্যাভিয়েট।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ক্যাভিয়েট দাখিল করল বিজেপি। বিজেপির অনুপস্থিতি যাতে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত কোনও মামলার শুনানি না হয় সেই জন্যই এই ক্যাভিয়েট।
বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি। এর পরেই খবর পাওয়া তৃণমূলের তরফে ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদের কাছে যাওয়া হতে পারে। এর পরেই বিজেপি নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির তরফে ক্যাভিয়েট দাখিল করেন। যদি তৃণমূল কিংবা অন্য কোনও পক্ষ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে আবেদন করা হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে বিজেপির বক্তব্য শুনতেই হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতিদের নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী। আদালতের নির্দেশের পর কীকী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি। ৯ এপ্রিল বিকেল ৩টের পর ১০ এপ্রিল বিকেল ৩ টে পর্যন্ত কতজন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তার তথ্য চান বিচারপতিরা। কিন্তু সেই সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আইনজীবীর কাছে ছিল না। একইসঙ্গে এই সময়ে কমিশনের কাছে কতগুলি অভিযোগ জমা পড়েছে তাও জানতে চান বিচারপতিরা। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্য দিতে পারেননি কমিশনের আইনজীবী। এরপরেই ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়ার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত তথ্য বিষদে আদালতের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সোমবারের মধ্যে। কমিশনের রিপোর্ট জমার পরেই পরবর্তী পর্যায়ের শুনানি হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতির নির্দেশের সময় তৃণমূলের তরফে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে। সেই কাজে স্থগিতাদেশ পড়লে নির্বাচনের কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। বিচারপতি তখন জানান, দরকারে নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়া হবে।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কোনও ভাবে পিছিয়ে যাক তাতে কোনও ভাবেই রাজি নয় তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে থাকায় বীরভূম কিংবা ক্যানিং, অনেক জায়গাতেই বিরোধী শূন্য জয় পেয়েছে তৃণমূল। এরপরে বিজয় মিছিলও বের করেছে তৃণমূল।