মমতার ‘ছবি’তে ছেয়েছে বিজেপির সভাস্থল! অমিতের মঞ্চের অভিমুখ বদলে কড়া বার্তা
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার মঞ্চের অভিমুখ ঘুরে গেল সম্পূর্ণ উল্টোদিকে। নিরাপত্তার কারণেই অমিত শাহের সভার অভিমুখ বদল করা হল বলে জানিয়েছে বিজেপি।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভার মঞ্চের অভিমুখ ঘুরে গেল সম্পূর্ণ উল্টোদিকে। নিরাপত্তার কারণেই অমিত শাহের সভার অভিমুখ বদল করা হল বলে জানিয়েছে বিজেপি। পার্কস্ট্রিটের দিকে মুখ না করে ধর্মতলার দিকে সভার মুখ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স-হোর্ডিং থেকে মুখ ঘোরাতেও এই ব্যবস্থা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিং-ব্যানার আর ফ্লেক্সে মুড়ে দেওয়া হয়েছে গোটা মেয়ো রোড, রোড রোড চত্বর। কোথাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়র লহ প্রণাম, কোথায় বাংলার শত্রু বিজেপি দূর হটো- এমন ধরনের নানা হোর্ডিং-ফ্লেক্সে ছেয়ে গেছে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের মঞ্চের আশপাশ।
এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছবির দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে মঞ্চ করা হচ্ছে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সাফ জানিয়েছে, নিরাপত্তার কারণে অভিমুখ বদল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোদীর সভায় দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বিজেপি সন্তর্পণে এই সভার আয়োজন করছে। যাতে কোথাও কোনও ফাঁকফোকর না থাকে, সে ব্যাপারে শশব্যস্ত বিজেপির বঙ্গ-নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন : মুকুল পিছনে ফেললেন রাহুলকে! অমিত-সভা ঘিরে বিজেপির 'সাপ-লুডো খেলা'য় জল্পনা]
এদিকে স্থির হয়েছিল অমিত শাহের সভার নিরাপত্তার ড্রোন ব্যবহার করা হবে। কিন্তু পরে জানানো হয় ড্রোন ব্যবহার করা হবে না। তবে সিসিটিভি ব্যবহার হয়েছে। উল্লেখ্য, অমিত শাহের সভা করার কথা ছিল রানি রাসমণি রোডে। কিন্তু অনুমতিক্রমে সভার স্থান বদল হয়। রানি রাসমণির অনুমতি বাতিলের পর মেয়ো রোডকে বেছে নেওয়া হয় অমিত শাহের সভার জন্য।
এবার অমিত শাহের সভার জন্য রাজ্য প্রশাসনের উপর নির্ভর না করে নিজেরাই সমস্ত ব্যবস্থা করছে বিজেপি। নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আইপিএস সেলকে। তাঁদের নির্দেশেই সভার অভিমুখ বদল করা হয়েছে। সেইসঙ্গে অমিত শাহের সভার নিরাপত্তায় বজরং দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবককে রাখা হয়েছে। তাঁরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করবেন। সেইমতোই পরিকল্পনা প্রস্তুত হয়েছে।
[আরও পড়ুন : কলকাতায় 'অবিশ্বাস'! অমিত শাহের মঞ্চ তৈরির মূল দায়িত্বে রাঁচির সংস্থা]
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হোর্ডিং ও ফ্লেক্স নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সেই ফ্লেক্স বা ব্যানারে যেন হাত না দেওয়া হয়। কড়া নির্দেশ পাঠিয়েছেন স্বয়ং অমিত শাহ। বিষয়টি দিল্লিতে জানানোর পরই অমিত শাহ পাল্টা বার্তা পাঠিয়ে সতর্ক করে দেন বিজেপি নেতৃত্বকে। উল্লেখ্য, এর আগে বীরভূমের তারাপীঠেও অমিত শাহের যাত্রাপথ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনুব্রত মণ্ডলের ফ্লেক্সে ভরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর যাত্রাপথও মমতার ফেস্টুন-হোর্ডিং দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়।