রাজ্যপালের নজিরবিহীন শর্তে থমকে বাবুলের বিধায়ক হিসাবে শপথের অনুষ্ঠান
বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়! বিধায়ক হিসাবে এবার শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। আর সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরেই জটিলতা। বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একাধিক
বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে জয় পেয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়! বিধায়ক হিসাবে এবার শপথ নেওয়ার কথা তাঁর। আর সেই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানকে ঘিরেই জটিলতা। বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একাধিক ইস্যুতে রাজভবন-নবান্ন সংঘাত নতুন কিছু নয়।
অভিযোগ পালটা অভিযোগকে কেন্দ্র করে মাঝে মধ্যেই সংঘাতে জড়ান প্রশাসনিক প্রধান এবং সংবিধানিক প্রধান। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এবার বাবুলের শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়েও সংঘাত!
বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ গ্রহণ সংক্রান্ত ফাইল ফেরত পাঠানোই নয়, বিধানসভার সচিবকে তলব করেছেন সংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনখড়। সম্প্রতি বেশ কিছু শর্ত দিয়েছেন তিনি। জানা যায়, বিধায়ক হিসাবে চলতি সপ্তাহেই শপথ নেওয়ার কথা রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়ের। সেই মতো অধ্যক্ষ যাতে শপথ গ্রহণ করাতে পারেন, সেই বিষয়ে রাজভবনে একটি ফাইল পাঠানো হয়। কিন্তু সেই ফাইল রাজ্যপাল ধনখড় ফের একবার ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছেন বলে খবর।
তাঁর দাবি, অধিবেশনকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। কিন্তু বিধানসভার তরফে কোনও প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হয়নি বলে দাবি রাজভবনের। আর তা নিয়েই শর্ত। ধনখড় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হলেও বিধানসভার অধ্যক্ষের পাঠানো ফাইলে সই হবে।
যদিও রাজ্য বিধানসভার তরফে পালটা জানানো হয় যে, রাজ্যপালের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে। এমনকি কোনও প্রশ্নই আর বাকি নেই বলেও জানানো হয়েছে।
ফলে নয়া এই সংঘাতের কারণে আটকে গিয়েছে বিধানসভায় বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে কবে হতে পারে এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান তা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েই গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন বালিগঞ্জ কেন্দ্রটি ফাঁকা ছিল। চলতি মাসে এই কেন্দ্র ভোট হয়। বাম এবং বিজেপি প্রার্থীদের পিছনে ফেলে বিপুল ভোটে জয় পান তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। মাসখানেক আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
এবার বালিগঞ্জে প্রার্থী করা হয় তাঁকে। জল্পনা সত্যি করেই জয় পেয়েছেন বাবুল। বিধায়ক হিসাবে তাঁর শপথ নেওয়া বাকি রয়েছে। আর তা নিয়েই জটিলতা তৈরি হয়েছে। বলে রাখা প্রয়োজন, এই শপথ বাক্য পাঠ করানো নিয়ে আগেই সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। প্রথা অনুযায়ী সংবিধানিক প্রধান শপথবাক্য পাঠ করান। অনেক সময়ে বিশেষ দায়িত্ব রাজ্যপাল দিতে পারেন।
তবে রাজনৈতিক কারবারিরা বলছেন, আজব শর্তে এবার থমকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান।