ছাড়পত্র মিলেছে সেনার, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন হবে ধর্মতলাতেই
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ছাড়পত্র এল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। মিলল সেনার সম্মতি। ধর্মতলাতেই হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন।
কলকাতা, ২৩ মার্চ : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। ছাড়পত্র এল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের। মিলল সেনার সম্মতি। ধর্মতলাতেই হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন। জট কেটে আলো জ্বলল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পে। এতদিন যে বিতর্ক থমকে দাঁড়িয়েছিল সেনার দোরগোড়ায়। তা সমাধান হয়ে গেল।
এসপ্ল্যানেডে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর স্টেশন গড়তে প্রাথমিক সম্মতির কথা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু ছাড়পত্র এসে পৌছচ্ছিল না। সেই ছাড়পত্র অবশেষে এসে পৌঁছল নবান্নে। কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল) এবং মেট্রো কর্তৃপক্ষকেও সম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ফলে আর কোনও সঙ্কট রইল না।
কেএমআরসিএলের এক কর্তা জানান, পুলিশ, দমকল, বন দফতর-সহ কিছু বিভাগের 'নো অবজেকশন সার্টিফিকেট' চেয়েছিল সেনাবাহিনী। আমরা সেগুলি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। তার পরিপেক্ষিতেই ছাড়পত্র দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এবার এসপ্ল্যানেডে নয়া মেট্রোর কাজ শুরু করতে আর কোনও অসুবিধা হবে না।
মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ধর্মতলায় স্টেশনটি তৈরি হবে ভূপৃষ্ঠের ৪৫ মিটার নীচে। প্রথমে এসপ্ল্যানেড চত্বরে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হবে। এরপর ক্রেন দিয়ে টানেল বোরিং মেশিন নীচে নামানো হবে। গোটা প্রক্রিয়ায় আট থেকে ন'মাস সময় লাগতে পারে। এই ছাড়পত্র জোগাড় করতে মেট্রো কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি রাজ্য প্রশাসনের কর্তারাও উদ্যোগী হয়েছিলেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে রাজ্য ও রেল কর্তারা দফায় দফায় দিল্লিতে বৈঠকও করেন।
ধর্মতলার জট কাটলেও তবে বিবাদী বাগের কাছে মেট্রো লাইনের জটিলতা এখনও কাটেনি। এই এলাকায় প্রস্তাবিত লাইনের পাশে কারেন্সি বিল্ডিং-সহ হেরিটেজ বিল্ডিং রয়েছে। সেগুলির রক্ষার কী হবে, তা নিয়েই দ্বৈতমত রয়ে গিয়েছে। খড়গপুর আইআইটি সমীক্ষা করছে ট্রেন চলাচল শুরু হলে বিল্ডিংয়ের কোনও ক্ষতি হবে কি না। আইআইটি'র রিপোর্ট 'আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া'র দফতরে ইতিমধ্যে জমাও পড়ে গিয়েছে। ন্যাশনাল মনুমেন্টস অথরিটি বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশ দেয়নি।