জলের ‘খনি’র সন্ধান মিলল অগ্নিবিধ্বস্ত বাগরি মার্কেটের পিছনে! অন্ধকারে ছিল রাজ্য
বাগরি মার্কেটের আগুন ধিকিধিকি জ্বলেই চলেছে। সেই আগুন নেভাতে যখন জলের জন্য তীব্র হাহাকার চলছে, তখনই জলের ‘খনি’র সন্ধান মিলল বাগরির মার্কেটের ঠিক পিছনেই।
বাগরি মার্কেটের আগুন ধিকিধিকি জ্বলেই চলেছে। সেই আগুন নেভাতে যখন জলের জন্য তীব্র হাহাকার চলছে, তখনই জলের 'খনি'র সন্ধান মিলল বাগরির মার্কেটের ঠিক পিছনেই। বাগরির অদূরেই যে রয়েছে ভূগর্ভস্থ জলাধার, তা জানেই না কেউ। অথচ এদিনই আচমকাই সেই জলাধারের সন্ধান মিলে গেল। যদিও এখন পরিত্যক্ত হয়ে রয়েছে জলাধারটি।
বড়বাজারের ঘিঞ্জি মার্কেট এলাকায় আগুন লাগলে, তা নেভানোর উপায় কী! দমকল ঢোকাতেই তো সময় লেগে যাবে। তার উপর সংকীর্ণ থেকে সংকীর্ণ হয়েছে পথ। এই ভাবনা আগে ছিল, অথচ তা থাকলেও কোনও পুরবোর্ডেরই ভ্রুক্ষেপ ছিল না রক্ষণাবেক্ষণে। তার খেসারত দিতে হচ্ছে আজকের দিনে এসে।
এমনকী ব্রিটিশ আমল থেকেই ভূগর্ভস্থ জলাধার ও হাইড্রোলিক স্টিস্টেম চালু ছিল। তাও যেমন রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি, তেমনই সিপিএম আমলে তৈরি হওয়া ভূগর্ভস্থ জলাধারও সংরক্ষণের অভাবে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। জল জোগানের সমস্ত ব্যবস্থা করা থাকলেও বড়বাজারের মার্কেট প্লেস আজ জল-বিহনে হাহাকার করছে।
[আরও পড়ুন:বিধ্বংসী আগুনের পর থেকে 'নিখোঁজ' বাগরির মালিক! ফিরহাদের নির্দেশের পর এফআইআর]
১৯৮৫ সাল, কমল বসু তখন মেয়র। তখনই তৈরি হয়েছিল ভূ-গর্ভস্থ জলাধার। গঙ্গা থেকে মাটির তলা দিয়ে পরিষ্কার জল লাইনের ব্যবস্থা আছে। অগ্নিকাণ্ড ঘটলে পর্যাপ্ত জল মিলবে এক লহমায়। কিন্তু সেই ব্যবস্থাকেই পরিত্যক্ত করে ফেলে রাখা হয়েছে। কী বর্তমান তৃণমূল পুরবোর্ড, কী বিগত সিপিএম বোর্ড, কেউই রক্ষণাবেক্ষণ করেনি ভূগর্ভস্থ জলাধারের। তার থেকেও বড় কথা কেউ জানতেনই না, এমন কোনও ব্যবস্থা রয়েছে।
[আরও পড়ুন: 'পরপর ধর্ষণের ঘটনায় চুপ মোদী, লজ্জায় মাথা হেঁট দেশের', তোপ রাহুলের]
এই আন্ডারগ্রাউন্ড জলাধার নিয়ে শাসক-বিরোধী সবাই অন্ধকারে। কিন্তু বিষয়টি যদি নজরে থাকত, তাহলে এতবড় ঝামেলায় পড়তে হত না দমকলকর্মীদের, জলের জন্য হাহাকার করতে হত না কাউকেই। বাগরি থেকে সোজাসুজি রাস্তায় একটু এগিয়ে এলেই জলাধার। ম্যানহোলের মুখ বন্ধ করা ছিল। এদিন কৌতুহলবশতঃ তা খোলা হতেই সন্ধান মেলে জলের খনির। যা দেখে নির্ঘাত হাত কামড়াচ্ছেন বাগরি মার্কেটে আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত দমকলকর্মীরা।
[আরও পড়ুন: মিলল একমাত্র উপায়! মোদীকে সরাতে পথ খুঁজে পেল কংগ্রেস]