বন্দিদের 'মাদক-টাকা' পাচার করে গ্রেফতার আলিপুর জেলের চিকিৎসক
বন্দিদের দেখভালের দায়িত্বে যে চিকিৎসককে রাখা হয়েছিল, সেই তিনিই অসাধু কাজ করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বন্দিদের হাতে টাকা থেকে শুরু করে মাদক সরবরাহ করে শুক্রবার হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন।
বন্দিদের দেখভালের দায়িত্বে যে চিকিৎসককে রাখা হয়েছিল, সেই তিনিই অসাধু কাজ করে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বন্দিদের হাতে টাকা থেকে শুরু করে মাদক সরবরাহ করে শুক্রবার হাতেনাতে গ্রেফতার হলেন।
ঘটনার পরই আলিপুর সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি আলিপুর থানার হাতে সঁপে দেয়। পুলিশ তদন্তে নেমে প্রথমেই চিকিৎসককে হেফাজতে নেয়। জানা গিয়েছে, গত দশবছর ধরে জেলে চিকিৎসকের দায়িত্ব পালন করছিলেন অমিতাভ চৌধুরী। তিনি যে এমন কাজ করছেন তা কেউ ঘূণাক্ষরেও টের পাননি।
চিকিৎসক হওয়ায় অবাধে চেকিং ছাড়াই তিনি যাতায়াত করতেন। কেউ তাকে সন্দেহ করেনি। তবে শুক্রবার কারা কর্তৃপক্ষ হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন। চিকিৎসকের ব্যাগ থেকে ১.৩৪ লক্ষ টাকা ও ৩৫টি মোবাইল উদ্ধার হয়।
পরে তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে, জেলবন্দিদের হাতে মোবাইল, মাদক, টাকা থেকে শুরু করে নানাবিধ সামগ্রী নিয়ম ভেঙে সাপ্লাই করতেন তিনি। এই কাজে কারা বিভাগের কারা তাকে সাহায্য করত সেটাই এখন খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আলিপুর জেলে অতীতে বন্দি পালানোর পরে সেল তল্লাশিতে অনেক মোবাইল উদ্ধার হয়। সেই ঘটনায় কারা রক্ষীরাই সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। তবে এবার চিকিৎসকের খোঁজ মেলায় তাজ্জব বনে গিয়েছেন আধিকারিকেরা। এসব করেই মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করতেন অভিযুক্ত চিকিৎসক অমিতাভ চৌধুরী। এদিন তাকে আদালতে তোলা হবে। হেফাজতে নিয়ে কারা এই ঘটনায় জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করবে পুলিশ।