ভোটে কোনও অশান্তি বরদাস্ত নয়! চলতি সপ্তাহে শহরে তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
এখনও ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশ হয়নি। কিন্তু ইতিমধ্যে বাংলায় পা রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট ঘোষণার আগে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহলদারি আগে কখনও হয়েছে কিনা মনে করতে পারছেন না অনেকেই।
তবে সুষ্ঠ এবং অবাধ ভোট করাতে কার্যত কোমর বেঁধে নেমেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, বাংলায় অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ৮০০ কোম্পানিরও বেশি বাহিনী আসতে পারে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঠিক কত বাহিনী প্রয়োজন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী আসবে কলকাতায়
ইতিমধ্যে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছে বাংলায়। বীরভূম, বর্ধমান সহ একাধিক স্পর্শকাতর এলাকায় সেই বাহিনী রুটমার্চও শুরু করেছে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে ভয়ের বাতাবরণ কাটানোর চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। আজ মঙ্গলবার সল্টলেকের বিভিন্ন জায়গাতে রুট মার্চ করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সূত্রের খবর, কলকাতায় আরও তিন কোম্পানি বাহিনী এসে পৌঁছবে। সূত্রের খবর, এই সপ্তাহেই অতিরিক্ত তিন কোম্পানি বাহিনী চলে আসবে কলকাতায়। সপ্তাহ শেষে শহরে শুরু হবে টহল।

মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনে
ধীরে ধীরে বাহিনী আসতে শুরু করেছে বাংলায়। চলতি সপ্তাহেই কলকাতায় আসছে আরও তিন কোম্পানি বাহিনী। লালবাজার সূত্রের খবর, এই বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে কলকাতা পুলিশের ন'টি ডিভিশনে। যদিও জওয়ানদের রাখা হবে কাশীপুরের সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের অফিস এবং এ জে সি বসু রোডের পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। সেখান থেকেই তাদের মোতায়েন করা হবে। মোতায়েনের পরেই শুরু হবে রুট মার্চ। ৭২টি থানা এলাকার কোথায়, কত বাহিনী সকালে ও বিকেলে রুট মার্চ করবে সেই বিষয়টি ঠিক করবে ডিভিশনাল ডেপুটি কমিশনারেরা। এমনটাই লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে।

রিপোর্ট যাবে কমিশনে, পুলিশের হাতেই থাকবে ক্ষমতা
প্রথম দফায় ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে বাংলায়। কিন্তু কলকাতায় এখনও বাহিনী আসেনি। যদিও চলতি সপ্তাহেই সেই বাহিনী চলে আসবে বলেই খবর। আর তা আসা মাত্র ভাগ করে দেওয়া হবে। ৭২টি থানা এলাকার কোথায়, কত বাহিনী সকালে ও বিকেলে রুট মার্চ করছে সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে বলেই সূত্রের খবর। এক বাংলা সংবাদপত্র জানাচ্ছে, এক-একটি কোম্পানিতে আটটি করে সেকশন থাকে। সেই হিসেবে তিন কোম্পানি এসএসবি-র ২৪টি সেকশনকে ৭২টি থানার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও তাদের নিয়ন্ত্রণ থাকবে পুলিশের হাতে। পুলিশই ঠিক করবে, কোথায় কোথায় রুট মার্চ করানো হবে। তবে সেই রিপোর্ট কমিশনকে দিতে হবে।

বিধানসভা ভোটে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত নয়
২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। আর সেই কারনে পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদেরও তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। এ বার নির্বাচন হতে চলেছে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে। সে কথা মাথায় রেখে বুথের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ২২ হাজার অতিরিক্ত বুথ থাকবে। তা নিয়ে মোট বুথের সংখ্যা হয়েছে ১ লক্ষের কিছু বেশি। সমস্ত বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে বাহিনীর সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে বলে সূত্রে জানা গিয়েছে।
