ভোট ঘোষণা হতেই আরও ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এল বাংলায়
শান্তিপূর্ণ ভোট করানোটা এখন চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে ইতিমধ্যে কমিশনের কাছে দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি।
শান্তিপূর্ণ ভোট করানোটা এখন চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের উপর ভরসা নেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে ইতিমধ্যে কমিশনের কাছে দাবি করেছে বিরোধী দলগুলি।
সবদিক বিচার করে ভোটের আগেই বাংলায় চলে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আর ভোট ঘোষণা হতেই বাংলায় পা রাখল আরও ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী কলকাতায়
শনিবার দুপুরে আরও দশ কোম্পানি আধাসেনা পৌঁছে গেল। আজ দুপুরে পাটনা থেকে বিশেষ ট্রেনে চিৎপুরে নামল সীমা সুরক্ষা বলের দশ কোম্পানি আধাসেনা। এর মধ্যে দু কোম্পানি করে বাহিনী পাঠানো হবে বনগাঁ এবং বসিরহাটে। তিন কোম্পানি যাবে বারাসাতে এবং বাকি তিন কোম্পানি বাহিনী কলকাতার জন্য। জানা যাচ্ছে, আগামিকাল রবিবার থেকেই কলকাতায় টহলদারি শুরু করে দেবে। কলকাতায় আসা সীমা সুরক্ষা বলের জওয়ানদের রাখা হচ্ছে পিটিএস এবং কলকাতা পুলিশের দু'নম্বর ব্যাটালিয়ানে। এছাড়াও রবিবার থেকেই শহরতলিতেও হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী টহলদারি চালাচ্ছে।
আট কোম্পানি বাহিনী আসছে উত্তরের জন্যে
জানা গিয়েছে, অসমের রঙ্গিয়া থেকে রাজ্যে আসছে সীমা সুরক্ষা বলের আরও আট কোম্পানি আধাসেনা। আট কোম্পানির মধ্যে ৬ কোম্পানি ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে। এই ছয় কোম্পানির মধ্যে তিন কোম্পানি যাবে দার্জিলিঙে বাকি তিন কোম্পানি কালিম্পং। বাকি ২ কোম্পানি রাতে এসে পৌছবে চিৎপুর স্টেশন। সেই বাহিনী কলকাতা থেকে সরাসরি চলে যাবে সুন্দরবনে। রবিবার থেকেই উত্তরের বিভিন্ন জায়গাতে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ শুরু হয়ে যাবে। উলেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসেই বাংলায় ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর বাংলার চলে আসার কথা। ইতিমধ্যে বাংলায় চলে এসেছে মোটা ৩০ কোম্পানি মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যই সেই বাহিনী চলে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনের লক্ষে কমিশনের পরিকল্পনা
নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দেওয়া হবে। সেই কারণেই প্রায় ৮০০ কোম্পানি বাহিনী লাগতে পারে। একদিকে নির্বাচন কমিশন যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে পরিকল্পনা করছে, অন্যদিকে তারই মধ্যে রয়েছে কোভিড পরিস্থিতির কথাও। এপ্রিল মে মাসে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নির্বাচন হবে রাজ্যে। যে কারণে হেলিকপ্টার ব্যবহার বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখার কথাও প্রাথমিক পরিকল্পনায় উঠে এসেছে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা হেলিকপ্টার ব্যবহার করেছিলেন
রাজ্যে আসছেন বিবেক দুবে
ভোটের দিন ঘোষণার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে আসছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে। রবিবারই তিনি রাজ্যে আসছেন বলে সূত্রের খবর। রাজ্যে এসেই তিনি রাজ্য পুলিশে রদবদল করবেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের বদলি ঘটাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বিবেক দুবে পর্যবেক্ষক ছিলেন। তাঁকে দরাজ সার্টিফিকেটদিয়ে ফের বিধানসভা ভটে পুলিশ পর্যবেক্ষক করে পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।