ইনফোসিসকে দেখে গা ঝাড়া দিয়ে উঠল উইপ্রো, বেঙ্গালুরুতে বিশেষ বৈঠক
দেশের অন্যতম বড় সংস্থা ইনফোসিস পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়, আরও সুখবর অপেক্ষা করে রয়েছে বাংলার আইটি ক্ষেত্রের জন্য।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে দেশের অন্যতম বড় সংস্থা ইনফোসিস পশ্চিমবঙ্গে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটাই শেষ নয়, আরও সুখবর অপেক্ষা করে রয়েছে বাংলার আইটি ক্ষেত্রের জন্য। রাজ্যে সরকারের তরফে উইপ্রো আধিকারিকদের সঙ্গে গত সোমবার বৈঠক হয়েছে। উদ্দেশ্যে আজিম প্রেমজীর সংস্থাকে রাজারহাটে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করাতে রাজি করানো।
সূত্রের খবর, তবে এই নিয়ে এখনই তাড়াহুড়ো না করে ধীরে চলো নীতি নিতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত বেশ কয়েকবছর ধরেই ইনফোসিসের প্রথম ক্যাম্পাস ও উইপ্রোর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস রাজারহাটে তৈরি হওয়া নিয়ে বিবাদ চলছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে। বাম আমলে ২০০৫ সালে উইপ্রোর প্রথম ক্যাম্পাস সল্টলেক সেক্টর ফাইভে শুরু হয় এসইজেড সহ।
এখন দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের জন্যও এসইজেড বা বিশেষ অর্থনৈতিক করিডোর-এর দাবি জানিয়েছে উইপ্রো। একই দাবি জানিয়ে ইনফোসিসও এরাজ্যে বিনিয়োগ করা থেকে পিছু হটেছে। এদিকে রাজ্য সরকারের শিল্পনীতি অনুযায়ী এসইজেড দেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনাই নেই।
এই অবস্থায় গত সোমবার উইপ্রোর অন্যতম কর্তা হরিপ্রসাদ হেগড়ের সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের তরফে এসইজেড বাদে অন্য নানা সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে গত জুলাই মাসে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বলেছিলেন, এসইজেড না দিতে পারলেও অন্য সমস্ত সুবিধা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলিকে দেওয়া হবে।
ইনফোসিস এর আগে এসইজেড চাইলেও পরবর্তীতে তা ছাড়াই বিনিয়োগে রাজি হয়েছে। সংস্থার তরফে রামদাস কামাথ জানিয়েছেন, পুরনো ইস্যুতে দূরত্ব না বাড়িয়ে ইনফোসিস এরাজ্যে বিনিয়োগে এগিয়ে যেতে চাইছে। খুব তাড়াতাড়ি প্ল্যানও জমা করা হবে সরকারের কাছে। এখন দেখার ইনফোসিসের পথ ধরে উইপ্রো এরাজ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস করতে রাজি হয় কিনা।