১৬ ঘণ্টা পর নিভল ট্যাংরার আগুন, মিলেছে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক
১৬ ঘণ্টা পর নিভল ট্যাংরার আগুন, মিলেছে বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর নিভল ট্যাংরার কারখানার আগুন। কিন্তু কী কারণে আগুন তার তদন্তে নেমে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়েছে। দমকল জানতে পেরেছে কারখানায় যে ধরনের রাসায়নিক মজুত করা ছিল সেটা আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। সেকারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল। এবং সহজে নিয়ন্ত্রণে আসছিল না। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছে।
অবশেষে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে ট্যাংরার কারখানার আগুন। গতকাল সন্ধে থেকে জ্বলছিল আগুন। ১৬ ঘণ্টার নিরলস প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছেন দমকল কর্মীরা। পুড়ে খাক হয়ে গিয়েছে গোটা কারখানা। এখনও বেশ কিছু জায়গায় পকেট ফায়ার রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। এতক্ষণ পরেও কেন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তার তদন্তে ডেকে পাঠানো হয়েছিল ফরেন্সিক দলকে।
ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেই বেরিয়ে পড়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রেক্সিনের মধ্যে থাকা ৪ রাসায়নিকের জন্যই আগুন নেভানো যাচ্ছে না। সেলুলোজ নাইট্রেট রয়েছে সেখানে। যাকে বলা হয়লো ইন্টেন্সিটি বিস্ফোরক। আগ্নেয়াস্ত্র তৈরিতে ব্যববার করা হয় এই রাসায়নিক। ছিল ক্যামফর অয়েল এবং রজক পদার্থ ও অ্যালকোহল। এই চারটিই ভীষণ রকমের দাহ্য। এই চার রাসায়নিক মিিশয়েই রেক্সিন তৈরি করা হত এই কারখানায়। সেকারণেই আগুন দ্রুত বিধ্বংসী আকার নেয়। আর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। সেটা আর কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিল না।
আগুন
নিয়ন্ত্রণে
আনা
গেলেও
গোটা
কারখানা
পুড়ে
খাক
হয়ে
গিয়েছে।
কুলিং
প্রসেস
শুরু
করেছেন
দমকলকর্মীরা।
আগুন
নেভাতে
গিয়ে
স্থানীয়দের
বিক্ষোভের
মুখে
পড়ে
আহত
হয়েছেন
২দমকলকর্মী।
তাঁদের
হাসপাতালে
ভর্তি
করা
হয়েছে।
কালো
ধোঁয়ায়
গোটা
এলাকা
ভরে
যাওয়ায়
আশপাশের
এলাকার
অনেক
বাসিন্দা
অসুস্থ
হয়ে
পড়েছিলেন।
তাঁদের
নিরাপদ
স্থানে
সরিয়ে
নিয়ে
যাওয়া
হয়েছে।
গুদামের
অগ্নিনির্বাপণ
ব্যবস্থা
নিয়েও
অভিযোগ
উঠেছে।
যদিও
দমকল
কর্মীরা
জানিয়েছেন
নতুন
করে
আগুন
ছড়ানোর
কোনও
সম্ভাবনা
নেই।
তবে
কুলিং
প্রসেস
জারি
রাখতে
হবে।