উপনির্বাচনের আগেই স্বস্তি প্রদেশ কংগ্রেসে! রাহুলের ভরসা কার উপর জানিয়ে দিলেন চিঠিতে
তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সাপে-নেউলে সম্পর্ক থাকলেও এখনই অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানো হচ্ছে না। তাঁর তিন বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও অধীরবাবুই রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের‘বস’থাকছেন
অধীরেই ভরসা রাখছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর সাপে-নেউলে সম্পর্ক থাকলেও এখনই অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরানো হচ্ছে না। তাঁর তিন বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পরও অধীরবাবুই রাজ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের 'বস' থাকছেন। শনিবারই দিল্লির তরফে চিঠি এসে পৌঁছেছে। সেই চিঠিতে বার্তা দেওয়া হয়েছে- কোনও বিশেষ কারণ ছাড়া পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে না রাজ্য সভাপতি পদে।
[আরও্ পড়ুন:ঝুলি থেকে বেড়াল বের হলেও হুঙ্কারই সার, নির্বিষ প্রশ্নে ভাই কেষ্টকে বিঁধলেন মুকুল]
রাজ্যে অধীর চৌধুরী নাকি ফের প্রদীপ ভট্টাচার্যকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হবে, তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই চাপানউতোর চলছিল। কংগ্রেস শিবির উলুবেড়িয়া ও নোয়াপাড়া দুই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ফেলে নজর দিয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের দিকে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিল্লির বার্তা এসে পৌঁছেছে। অধীর চৌধুরীর উপরই ভরসা রাখছেন রাহুল গান্ধী।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের বেনোজলে আবাদ ভরাচ্ছে বিজেপি! মুকুলকে কটাক্ষে অভিষেকের তীক্ষ্ণ বাণ]
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, কোনও রাজ্যেই বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরানো হচ্ছে না সভাপতিদের। এ রাজ্যে অধীরের আমলে কংগ্রেসের হাল না ফিরলেও, তাঁর আক্রমণাত্মক মনোভাবেই ভরসা রাখছেন রাহুল। অধীরের জায়গায় প্রদীপ ভট্টাচার্যকে ভাবার একটাই করাণ ছিল তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা। আপাতত তা নিয়ে না ভেবে দলের সংগঠনেই জোর দিতে চাইছেন রাহুল গান্ধী।
[আরও পড়ুন:শ্যামপুরের ওসি-র শেষ 'অপারেশনে' প্রাণ নিয়ে টানাটানি! কেমন আছেন সুমন, খোঁজ নিলেন মমতাও]
বঙ্গ কংগ্রেসে পরিবর্তন না হলেও, গুজরাত কংগ্রেসে অবশ্য প্রভূত পরিবর্তন এনেছেন রাহুল গান্ধী। গুজরাতে তরুণ পতিদার নেতা পরেশ ধানানিকে বিরোধী দলনেতার পদে বসানো হয়েছে। এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়েছে গুজরাত কংগ্রেসও। সৌরাষ্ট্রে আন্দোলনের মুখ ছিলেন তিনি, তাঁর মতো নতুন একজনকে সুযোগ দেওয়ায় কংগ্রেসে খুশির আমেজ। দিল্লি প্রদেশ কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসছেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়।