মোদীর হাত শক্ত করলেন মমতা! অধীরের নালিশ জোরদার তৃণমূল সাংসদের হাজিরায়
পেট্রোপণ্যের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে কংগ্রসের ডাকা বনধকে সমর্থন করা হবে না বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর আবার কংগ্রেস সভাপতির বনধের মঞ্চেই হাজির তৃণমূল সাংসদ সুধাংশুশেখর রায়।
পেট্রোপণ্যের অগ্নিমূল্যের প্রতিবাদে কংগ্রসের ডাকা বনধকে সমর্থন করা হবে না বলে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর আবার কংগ্রেস সভাপতির বনধের মঞ্চেই হাজির হয়ে গেলেন তৃণমূল সাংসদ সুধাংশুশেখর রায়। এদিকে রাজ্যজুড়ে বনধের প্রতিবাদে নামল তৃণমূল। এই অবস্থায় অধীর চৌধুরীর প্রশ্ন- কার হাত শক্ত করছেন মমতা?
উত্তরটাও দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিই। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনধের বিরোধিতা করে নরেন্দ্র মোদীর হাতই শক্ত করলেন। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সমস্ত বিরোশী শক্তি একযোগে গর্জে উঠেছে। বিরোধীদের মধ্যে একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসই বনধের বিরোধিতা করলেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনধ ব্যর্থ করতে তাঁর মন্ত্রিসভার সমস্ত সদস্যদের রাস্তায় নামিয়েছেন। তিনি নিজে রাস্তায় নেমেছেন বনধের বিরোধিতায়। তাঁর এই ভূমিকা সাধারণ মানুষ দেখেছেন, তাঁরাই বিচার করবেন। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, মুখে কেন্দ্রের বিরোধিতার কথা বললেও, আদতে তিনি তা করেন না।
তিনি আবার রাজ্যে কংগ্রেসের বিরোধিতা করছেন, আর দিল্লিতে বনধের সমর্থনে বিরোধী ঐক্যের মঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছেন দলের সাংসদকে। তাঁর দুমুখো নীতি প্রকট হয়ে পড়ছে। উল্লেখ্য, এদিন বনধের ইস্যুকে সমর্থন করে তৃণমূল পথে নামে। আবার বনধ বিরোধিতায় সমস্তরকম ব্যবস্থা নেয়। রাজ্যের শাসকদলের এই সিদ্ধান্তকে স্ব-বিরোধিতা বলে ব্যাখ্যা আগেই করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, মোদীর হাত শক্ত করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
তৃণমূলের বনধ-অবস্থানকে কটাক্ষ করে অধীর বলেন, সোমবার ভারত বনধের সমর্থনে রাহুল গান্ধীর ডাকে সাড়া দিয়েছেন বিজেপি বিরোধী সমস্ত দলগুলিই। বামেরাও পৃথক বনধ ডেকে সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন কংগ্রেসের দিকে। কিন্তু তৃণমূল বনধের বিরোধিতার নামে যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাতে স্ব-বিরোধিতাই প্রকট হয়েছে বলে অভিযোগ অধীরের।
এদিন তৃণমূলের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হন বামফন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। তিনি বলেন, মুখে বিজেপি বিরোধিতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কাজে তিনি সেই বিরোধিতা রাখতে পারেন না। তার প্রমাণ মিলল এদিনের বনধে। তৃণমূলের বিজেপি বিরোধিতার মুখোশ খসে পড়ল এদিন। কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধিতায় যে তৃণমূল নেই, তা স্পষ্ট হয়ে গেল বনধ বিরোধিতায়।