কয়লা-কলেঙ্কারিতে সিবিআই, সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা অভিষেক-জায়া রুজিরাকে
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা চলল। অভিষেক-জায়া রুজিরাকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর বাড়ি থেকে বের হলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা চলল। অভিষেক-জায়া রুজিরাকে সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পর বাড়ি থেকে বের হলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সকাল সাড়ে ১১টায় জেরা শুরু হয়েছিল, সেই জেরা শেষ হল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ। এদিন দু-দফায় জেরা চালান সিবিআই আধিকারিকরা।
কয়লা কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরার। মূলত এদিনের জেরার সিংহভাগ অংশজুড়ে ছিল আর্থিক লেনদেনই। মঙ্গলবার যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ত্রিপুরা উপনির্বাচবের প্রচারে, সেদিনেই রুজিরাকে জেরা করতে 'শান্তিনিকেতনে' হাজির হন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। অভিষেকের অনুপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ।
রুজিরাকে জেরা করার জন্য চিঠি পাঠানো হয়েছিল সোমবার। সিবিআইয়ের সেই চিঠি পাওয়ার পর রুজিরা সম্মত হন জেরার মুখোমুখি হতে। অভিষেকও আপত্তি করেননি। তিনি ত্রিপুরা সফর স্থগিতও করেননি। এদিন যখন বাড়িতে জেরা চলছে রুজিরাকে, তখন ত্রিপুরার মঞ্চ থেকে গর্জে ওঠেন অভিষেক। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যা করার করে দেখাক, তিনি মাথা নত করবেন না। এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাতে পারবে না কেন্দ্র।
কয়লা কেলেঙ্কারির তদন্তে এর আগে একাধিকবার অভিষেক ও রুজিরাকে তলব করা হয়েছিল। অভিষেক একাধিকবার দিল্লিতে গিয়ে ইডির মুখোমুখি হয়েছিল। তলব করা হয়েছিল রুজিরাকেও। কিন্তু দিল্লিতে গিয়ে রুজিরার পক্ষে কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হয়নি। অভিষেক ও রুজিরা চেয়েছিলেন কলকাতায় এসে তারা জেরা করুক। তারা জেরার মুখোমুখি হতে তৈরি।
অভিষেক ও রুজিরা কলকাতা জেরার করার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। সুপ্রিমে কোর্টে তাঁরা আবেদন করেন। শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয়, সিবিআই যেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ কলকাতায় করে। বারবার তাদের দিল্লিকে ডাকা যাবে না। তারপরই গতকাল চিঠি দিয়ে এদিনই অভিষেকের বাড়িতে হাজির হয়ে যান সিবিআই আধিকারিকরা। চলে সাত ঘণ্টার ম্যারাথন জেরা। দু-দফায় জেরার পর সিবিআই আধিকারিকরা বের হল অভিষেকের বাড়ি থেকে।
এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচনের প্রচারে ত্রিপুরায় রয়েছেন। তাঁর বাড়িতে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর স্ত্রী রুজিরাকে। ত্রিপুরার আগরতলার মঞ্চ থেকে গর্জে উঠে অভিষেক জানান, ওঁরা ভাবছে ধমকালে, চমকালে আমরা ভয় পেয়ে যাব, কিন্তু যতই ধমকান-চমকান, কাঁচকলা করবেন। আমরা মাথা নত করব না।
অভিষেক বলেন, আমি ত্রিপুরায় আসব বলে, বাড়িতে সিবিআই পাঠিয়েছে আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে। ভেবেছে আমি ত্রিপুরায় আসতে পারব না। কিন্তু আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না, তৃণমূলকেও ভয় দেখিয়ে ঠেকাতে পারবে না। বিজেপিকে নিশানা করে তিনি বলেন, বিজেপির সঙ্গে এজেন্সি আছে, আর আমাদের সঙ্গে আছে মানুষ। এটাই আমাদের শক্তি। তাই বিজেপির এজেন্সিকে আমরা ভয় করি না।