আত্মঘাতী সাউথ পয়েন্টের ছাত্র! নীল তিমির পর কি মারণ সিনেমা
মেধাবী সৃজন পড়াশোনার নাম করে ঘরে ঢুকে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিল? তাহলে কি ভূতের ওই সিনেমা প্রভাব ফেলল তাঁর মনেও! নাকি আত্মহত্যার পিছনে সেই নীল তিমি?
'এই সিনেমা যে দেখে, সে-ই আত্মহত্যা করে। তবু কেন যে বন্ধুরা সিনেমাটা দেখতে যাচ্ছে'! মায়ের কাছে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল সাউথ পয়েন্ট স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র সৃজন চৌধুরী। একেবারে নাটকীয় কায়দায় সেই ঘটনার পাঁচদিনের মাথায় আত্মহত্যা করে বসল ১৭ বছরের সৃজন। তা থেকে এখন আশঙ্কা, সৃজনও কি ওই সিনেমা সেদিন দেখতে গিয়েছিল? ছেলেকে হারিয়ে এ কথা বলেই বিলাপ করছেন মা।
[আরও পড়ুন:শপিং মলে মহিলার ঝাঁপ, সিসিটিভি-তে বন্দি হল ছবি, হিম্মত থাকলে ভিডিও দেখুন]
নিজের ঘর থেকে সৃজনের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর কালীঘাটের বাড়িতে শোকস্তব্ধ পরিবেশ। কেউই বুঝতে পারছেন না মেধাবী সৃজন পড়াশোনার নাম করে ঘরে ঢুকে কেন আত্মহননের পথ বেছে নিল? তাহলে কি ভূতের ওই সিনেমা প্রভাব ফেলল তাঁর মনেও! নাকি এই আত্মহত্যার ঘটনার পিছনেও রয়েছে নীল তিমির সেই মারণ খেলা!
আত্মঘাতী ছাত্রের মায়ের মুখ থেকেই শোনা গিয়েছে, 'সারাক্ষণ মোবাইলে মুখ ডুবিয়ে থাকত সৃজন। কী করত জানি না। আমি সামনে গেলেই স্ক্রিন থেকে তাড়াতাড়ি সরিয়ে দিত তা। ফলে বুঝতে পারতাম না মোবাইলে কী করত সৃজন। তাঁকে লুকিয়েই মোবাইলে মেতে থাকত। কিন্তু ঘরে নেট না থাকা সত্ত্বেও কী করে সে নেট সংযোগ করত মোবাইলে তাও রহস্যের।'
মঙ্গলবার ঘরে ঢোকার আগে মাকে সৃজন বলে যায়, 'এখন আমি কেমিস্ট্রি পড়ব। আমাকে কেউ যেন ডিস্টার্ব না করে।' এই বলেই সে ঘরে বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ সময় সে ঘরে রয়েছে, মা ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পেয়ে মা ও পরিবারের অন্যান্যরা তটস্থ হয়ে পড়েন। পরে জানালা ফাঁক করে দেখা যায় সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে সৃজনের দেহ।
হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কারণ অনুসন্ধানে পুলিশ খতিয়ে দেখবে ভূতের সিনেমা নাকি নীল তিমির মারণ খেলায় এই আত্মহত্যা।